ক্ষমতার অপব্যবহার করে তদন্তে বাধা দেবার অভিযোগ উঠল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংয়ের স্বামী প্রতাপ দের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিচারপতির স্বামীকে তলব করল সিআইডি। আগামী শনিবার বেলা ১১ টায় তাকে ভবানী ভবনে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি অমৃতা সিংয়ের স্বামী পেশায় একজন আইনজীবী। সিআইডি সূত্রে খবর, তাঁর বিরুদ্ধে এক বৃদ্ধা বিধবা মহিলা ও তার মেয়েকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আপাতত মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন। বিচারপতির স্বামীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের মামলায় কোনও বাড়তি পদক্ষেপ করা যাবে না বলে জানায় শীর্ষ আদালত। তবে গত ১ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট জানায়, আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করতে পারবে পুলিশ।
উল্লেখ্য, ভারতীয় আইন অনুযায়ী পৈতৃক সম্পত্তির উপর ছেলেমেয়ের অধিকার রয়েছে। সেই সম্পত্তি পেলেও ওই বৃদ্ধা মহিলার দাদার পরিবার সেই তাঁকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা করছে। বৃদ্ধার অভিযোগ, তাঁকে মারধর করা হয়েছে। যার প্রমাণ হিসেবে সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে। তিনি আদালতে তাঁর দাদার পরিবারের বিরুদ্ধে ফৌজিদারি মামলা দায়ের করেন।
ঘটনাচক্রে, বৃদ্ধার আত্মীয়ের হয়ে মামলা লড়ছেন বিচারপতির স্বামী। আইন বিষয়ক নিউজ পোর্টাল ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’-এ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বৃদ্ধা জানিয়েছেন, স্ত্রীর পদমর্যাদা কাজে লাগিয়ে তদন্তে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেছেন আইনজীবী। বৃদ্ধার আরও অভিযোগ, বিচারপতির দপ্তরে ডেকে পাঠানো হয়েছিল তদন্তকারী অফিসারকে। তাঁকে রীতিমতো ধমক দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ বৃদ্ধার। এই অভিযোগের তদন্ত এবং নিজের পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে ওই বৃদ্ধা শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃদ্ধা জানিয়েছেন, একজনকে গ্রেফতার করা হলেও তদন্তের গতি রুদ্ধ হয়েছে। অন্যদিকে, রাজ্যের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ন্যয়সঙ্গত ভাবেই তদন্ত হচ্ছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই মামলায় শীর্ষ আদালতের তরফ থেকে আইন অনুযায়ী তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানুযারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে মামলাটির পরবর্তী শুনানি। সেদিন সিআইডি আধিকারিকদের নতুন রিপোর্ট পেশের কথাও বলেছে সর্বোচ্চ আদালত। মামলাটি শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি এলভিএন ভাট্টির ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন