বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মুকুল রায়। এবার সেই জায়গায় আসতে চলেছেন বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী।
সূত্রের খবর, মুকুল রায়ের ইস্তফা দেওয়ার দিনই রাজ্য বিধানসভার তরফে কৃষ্ণ কল্যাণীর নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দোপাধ্যায় এ ব্যাপারে সরকারিভাবে কোনও কিছু জানাননি। নতুন স্পিকার কে হবেন সে বিষয়ে বুধবার বিমান বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, "এখনও এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। আগে পিএসি-র সদস্য নিতে হবে, তার পরে চেয়ারম্যান করব। মুকুল রায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি। জানতে চেয়েছি, ওঁকে কেউ ভয় দেখিয়েছে বা প্রভাব বিস্তার করেছে কি না। উনি (মুকুল) জানিয়েছেন, স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন স্বাস্থ্যের কারণে। তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছি। কমিটিতে যে শূন্য পদ হল, আইনত তা পূরণ করব।"
মুকুল রায় ছিলেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক। সেই হিসেবেই তাঁকে বিধানসভার PAC চেয়ারম্যান পদে রাখা হয়েছিল। কিন্তু '২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপি ছেড়ে তিনি পুনরায় তৃণমূলে যোগদান করেছেন। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় মুকুলের বিরুদ্ধে বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন জানিয়েছিল বিজেপি।
তবে এবার মুকুলের পরিবর্তে PAC চেয়ারম্যান পদে কৃষ্ণ কল্যাণীকে আনা হলে ফের চরমে উঠতে পারে তৃণমূল-বিজেপি সংঘাত। এমনটাই জানা যাচ্ছে বিজেপি পরিষদীয় দলের সূত্র অনুযায়ী। বিজেপি প্রার্থী হিসেবে রায়গঞ্জ থেকে বিধানসভা ভোটে জিতলেও, পরে তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় মুকুলের মতো কৃষ্ণ কল্যাণীর বিধায়ক পদও খারিজ করার জন্য স্পিকারের কাছে বিজেপি আবেদন জমা দিয়েছে।
বিজেপি নেতাদের সঙ্গে প্রবল মতবিরোধ হওয়ায় ২০২১ সালের ১ অক্টোবর বিজেপি ছাড়েন কল্যাণী। এর মাত্র ২৬ দিন বাদে ২০২১ সালের ২৭ অক্টোবর ঘাষফুল শিবিরে যোগ দেন রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল পরিষদীয় দলের এক নেতা জানান, "বিরোধী দলের কোনও সদস্যকে পিএসি-র চেয়ারম্যান করাই রেওয়াজ। সেই অনুযায়ীই স্পিকার নিশ্চয়ই সিদ্ধান্ত নেবেন।" উল্লেখ্য, বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী বুধবার রায়গঞ্জ থেকে কলকাতা রওনা হয়েছেন। যদিও পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। কৃষ্ণ কল্যাণী বলেছেন, "এই ব্যাপারে স্পিকার ঘোষণা করবেন।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন