সাদা খাতায় নাম লিখে জমা দিলেই চাকরি! - TET দুর্নীতিতে এবার CBI-র নজরে পর্ষদ কর্মচারী

এফআইআর-এ বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের ১১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়েছিল টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্ট, ২০১৪। দুর্নীতিগ্রস্তরা বেআইনিভাবে অযোগ্যদের চাকরি পাইয়ে দিয়েছে।
ছবি - প্রতীকী
ছবি - প্রতীকী
Published on

এসএসসি দুর্নীতির পর এবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতিতে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এফআইআর-এ বলা হয়েছে যে, শুধুমাত্র নাম লিখে সাদা খাতা জমা দিয়েই মিলেছে চাকরি। এমনকি ফেল করা এবং অযোগ্য প্রার্থীদের প্রাথমিক স্কুলে অ্যাসিস্ট্যান্ট টিচারের চাকরি দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেই অভিযোগ।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি মামলায় মূল অভিযুক্ত বাগদার রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে তার পাশাপাশি সিবিআই-এর নজরে এবার উঠে এলো প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের একাধিক কর্মচারীর নাম। পর্ষদের অনেকেই দুর্নীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত বলেই মনে করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।

এফআইআর-এ বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের ১১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়েছিল টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্ট, ২০১৪। দুর্নীতিগ্রস্তরা বেআইনিভাবে অযোগ্যদের চাকরি পাইয়ে দিয়েছে। প্রচুর টাকার বিনিময়ে কার্যত কেনা হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি। প্রশ্নপত্র এবং 'উত্তর' এমনভাবে সাজানো হয়েছিল, যাতে যোগ্য প্রার্থীরা বঞ্চিত হয়। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বজন-পোষণের কথা উল্লেখের পাশাপাশি বলা হয়েছে অযোগ্যদের চাকরি দেওয়ার জন্য বিকল্প প্যানেল তৈরি করে ফেলা হয়েছিল।

শুধু তাই নয়, মামলাকারীদের বক্তব্য বেআইনি পথে মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেনের বিনিময়ে দিনের পর দিন ধরে চাকরি হয়েছে অনেকের। সিবিআই-এর এফআইআর-এ সেইসব তথ্যের উল্লেখ আছে।

সিবিআই সূত্রের খবর, বাগদার রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডলের সঙ্গে পর্ষদের কর্মচারীদের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। তার মাধ্যমেই মোটা টাকার বিনিময়ে অযোগ্য ব্যক্তিদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। মূলত ১২০-র বি, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮ এবং ৪৭১ নম্বর ধারায় এফআইআর করা হয়েছে। এছাড়াও এফআইআর-এ দুর্নীতিদমন আইনের ৭ এবং ৮ নম্বর ধারাও যোগ করা হয়েছে। তাতে নাম রয়েছে রঞ্জনেরও।

এ প্রসঙ্গে বাগদা এলাকার বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে শাসকদলের আরও অনেকেই শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির সাথে যুক্ত। রঞ্জনের সাথেও তৃণমূলের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। তাই যারা পেটের দায়ে মোটা টাকা ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছে তাদের না ধরে যারা ঘুষ নিয়েছিল তাদের ধরুক সিবিআই।

আদালত জানিয়েছে, এ বিষয়ে আগামী ১৫ জুনের মধ্যে সিবিআইকে রিপোর্ট পেশ করতে হবে।

ছবি - প্রতীকী
TET Scam: প্রাথমিক দুর্নীতিতে অন্যতম অভিযুক্ত রঞ্জন ওরফে চন্দন মন্ডল নিখোঁজ!

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in