পড়ুয়াদের রাজনৈতিক রং দেখে নম্বর দেওয়া হয়! চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগ উঠল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। যার জেরে শুক্রবার দিনভর ঘেরাও করা হয় বিভাগীয় প্রধানের অফিস। চলে অনশনও। এরপর কর্তৃপক্ষের কাছে সুবিচারের আশ্বাস পেয়ে আন্দোলন তুলে নেন পড়ুয়ারা।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন বিভাগে এমন হয় বলে অভিযোগ পড়ুয়াদের একাংশের। আন্দোলনকারীদের পক্ষে শুভম গঙ্গোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন বিভাগের শিক্ষকদের একাংশ পড়ুয়াদের রাজনৈতিক রং দেখে পরীক্ষায় নম্বর দেন। তাঁর অভিযোগ মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম-মনস্ক শিক্ষকদের বিরুদ্ধে।
সাংবাদিকতার পিজির ছাত্র দেবকুমার মল্লিক জানান, ক্যাম্পাসে এক বিশেষ রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের সদস্য হলে তাঁদের বেশি নম্বর দেওয়া হয়। না করলে ফেল করানো হয় বা কম নম্বর দেওয়া হয়। এই কারণে বহু পড়ুয়া পিএইচডি করতে পারছেন না। কেউ ফার্স্ট ক্লাস পাওয়ার যোগ্যতা থাকলেও তা পাচ্ছেন না।
আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা জানান, এর আগে এই নিয়ে ৫০টির বেশি অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। যার ফলে শুক্রবার সাংবাদিকতা এবং গণজ্ঞাপনের বিভাগীয় প্রধান পার্থসারথি চক্রবর্তীর দফতর ঘেরাও করেন পড়ুয়ারা। পরে শুরু হয় অনশন। শেষে বিভাগীয় বোর্ড অব স্টাডিজের বৈঠক ডাকা হয়। সেই বৈঠকে পড়ুয়াদের পক্ষ থেকে রিভিউ করা এবং রিভিউয়ের সময়ে বাইরের বিশেষজ্ঞদের রাখার দাবি তোলা হয়। এছাড়া, অভিযুক্ত শিক্ষকদের লিখিত ভাবে ক্ষমা চাইতে হবে বলেও দাবি জানান পড়ুয়াদের একাংশ।
বৈঠকের পরে বিভাগীয় প্রধান পার্থসারথি চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ফাইনাল সিমেস্টারের পরীক্ষার রিভিউয়ের সময়ে বাইরের এক্সপার্ট থাকবেন। ইন্টারনাল সহ যে সব পরীক্ষা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে, সেগুলিও খতিয়ে দেখা হবে। এক শিক্ষককে কারণ দর্শাতেও বলা হয়েছে।’’ তবে রাজনৈতিক আনুগত্য দেখে নম্বর দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে তিনি মন্তব্য করতে চাননি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন