ছাত্রনেতা আনিশ খানের রহস্যমৃত্যুর প্রতিবাদ মিছিলকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠলো পার্ক সার্কাস। আনিশ খানকে হত্যা করা হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে দোষীদের শাস্তির দাবিতে পথে নেমেছিলেন পড়ুয়ারা। পথে পুলিশের সাথে পড়ুয়াদের ধস্তাধস্তিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল এগিয়ে নিয়ে যায় পড়ুয়ারা।
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া আনিশ খানের হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে এদিন সন্ধ্যা ৬টার সময় মিছিল ডাকেন তাঁর সহপাঠীরা। মোমবাতি হাতে পথে নামেন তাঁর সহপাঠীরা। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদ্মপুকুর পর্যন্ত মিছিল হওয়ার কথা। বেনিয়াপুকুর থানার কাছ থেকে অনুমতিও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মাঝপথেই মিছিল আটকায় পুলিশ। পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি শুরু হয় পড়ুয়াদের। বেশ কয়েকজন আহতও হন। কিন্তু প্রতিবাদীরা পিছু না হটে রাস্তার ধারে থাকা সমস্ত ব্যারিকেড ফেলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন। সেভেন পয়েন্ট ক্রসিংয়ে মানববন্ধন করে ন্যায়বিচারের দাবি তোলেন পড়ুয়ারা।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার গভীর রাতে হাওড়ার আমতায় নিজের বাড়িতেই খুন হন আনিশ খান। তাঁর পরিবারের দাবি, গভীর রাতে চারজন তাঁর বাড়িতে আসেন। এদের মধ্যে একজন পুলিশের পোশাক পরেছিলেন। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে বাড়ির বাকি লোকদের ভয় দেখিয়ে আনিশকে নিয়ে তিনতলার ছাদে উঠে যান তাঁরা। সেখান থেকে তাঁকে নিচে ফেলে হত্যা করে অভিযুক্তরা। এরপর কাজ মিটে গেছে বলে পালিয়ে যান তারা।
নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলনে প্রথম সারিতে ছিলেন আনিশ খান। সিএএ-বিরোধী আন্দোলনের সময় তিনি বলেছিলেন, যদি ব্যানার লিখতে রং কম পরে তাহলে আমার রক্ত দিয়ে ব্যানার লেখা হোক। তাঁর এই মন্তব্য খুব জনপ্রিয় হয়েছিল। প্রতিবাদী মুখ হিসেবে অত্যন্ত পরিচিত ছিলেন তিনি। আইএসএফে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। আনিশের হত্যার প্রতিবাদে সরব সিপিআইএম-আইএসএফ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন