একাধিক চালকলের হদিশ আগেই পাওয়া গিয়েছিল অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের নামে। এবার সরাসরি সুকন্যার কোম্পানিকে নোটিশ পাঠালো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। আগামী সোমবারের মধ্যে যাবতীয় নথি জমার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ১১ আগস্ট গোরু পাচারকাণ্ডে সিবিআই-র হাতে গ্রেফতার হন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তারপর থেকে গোটা বীরভূম সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে অনুব্রত এবং তাঁর মেয়ের নামে ৪৫ টি জমির হদিশ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। এছাড়াও ১৮ কোটি টাকা ফিক্সড ডিপোজিট সহ নামে-বেনামে একাধিক সম্পত্তির হদিশ মিলেছে অনুব্রত ও তাঁর পরিবারের নামে।
সিবিআই সূত্র মোতাবেক জানা গেছে, অনুব্রত কন্যার নামে একাধিক ব্যবসায়িক সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। তার মধ্যে এএনএম (ANM) অ্যাগ্রোকেম ফুড প্রাইভেট লিমিটেড নামের এক কোম্পানির যুগ্ম ডিরেক্টর পদে রয়েছেন সুকন্যা মণ্ডল এবং অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎ বরণ গায়েন।
হুমকি দিয়ে, বলপূর্বক চাপ সৃষ্টি করে, নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে এই কোম্পানির নামে বহু জায়গায় নামে বেনামে সম্পত্তি, জমিজমা কিনেছেন সুকন্যারা। এমনই বিষ্ফোরক অভিযোগ তুলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদের দুজনকেই আগামী সোমবারের মধ্যে যাবতীয় এই কোম্পানির যাবতীয় নথিপত্র জমা দিতে বলেছে সিবিআই।
পাশাপাশি আরও জানা গেছে, ওই বেসরকারি খাদ্যপ্রস্তুতকারক সংস্থার নামে ১৬০ ধারায় নোটিশ দেওয়া হয়েছে। যেখানে সাক্ষী হিসেবে তলব করা হয়েছে সুকন্যা এবং বিদ্যুৎ বরণকে। গোয়েন্দা আধিকারিকদের দাবি, ওই বেসরকারি সংস্থার নামে একাধিক সম্পত্তি কেনা হয়েছে। এমনকি, কিছুদিন আগেই গোরু পাচারকাণ্ডে অনুব্রতর বিরুদ্ধে আদালতে যে ৩৫ পাতার চার্জশিট জমা পড়েছিল, সেখানেও নাম রয়েছে এএনএম কোম্পানির।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পূর্বেও বহুবার অনুব্রত কন্যার সম্পত্তির হিসাব চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছিল সিবিআই। নয়া নোটিশে, বোলপুরের রাইস মিল ছাড়াও অন্যান্য যে সকল সংস্থার মালিকানা বা পরিচালিকা পদে সুকন্যার নাম আছে, তার সকল নথি জমা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু, তিনি তা উপেক্ষা করায় আবার নতুন করে নোটিশ জারি করা হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন