সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দেওয়ার সদিচ্ছা থাকলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে আজ হাজিরা দিতে পারবেন না অনুব্রত মণ্ডল। সশরীরে সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার জন্য ৪ সপ্তাহ সময় দিতে হবে। নইলে সিবিআই চাইলে হাসপাতালে এসে 'অসুস্থ' অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। এই মর্মে সিবিআইকে চিঠি পাঠালেন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবি অনির্বাণ গুহ ঠাকুরতা এবং সঞ্জীব কুমার দাঁ।
গরু পাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করেছিল সিবিআই। আজ নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়ার উদেশ্য নিয়ে গতকাল কলকাতা আসেন অনুব্রত। আজ সকালে বাড়ি থেকে বেরও হন। কিন্তু আচমকা তাঁর গাড়ি SSKM হাসপাতালের দিকে মোড় নেয় এবং কিছুক্ষণের মধ্যে SSKM-এর উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হন তিনি। এই নিয়ে পঞ্চম বার হাজির এড়ালেন তিনি।
আইনজীবী মারফত সিবিআইকে পাঠানো চিঠিতে অনুব্রত লিখেছেন, "সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অসুস্থতার কারণে হাজিরা দিতে পারছিনা। তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। সিবিআই চাইলে হাসপাতালে আসতে পারে। আমি সবরকম সহযোগিতা করবো।"
সিবিআইকে এই চিঠি দিয়ে বেরিয়ে আসার সময় অনুব্রত মন্ডলের আইনজীবী অনির্বাণ গুহ ঠাকুরতা সাংবাদিকদের সামনে বলেন, অনুব্রত মণ্ডলের শারীরিক অবস্থা এই মুহূর্তে একদমই ভালো নয়। সিবিআই দপ্তরে আসার প্রচুর চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কেবলমাত্র হাজিরা দেওয়ার জন্যই বোলপুর থেকে এসেছেন তিনি। দুর্ভাগ্যবশত তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।
অন্যদিকে অনুব্রতের এই আকস্মিক অসুস্থতা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। নিজের এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, সিবিআই, ইডি বা থানা যে যখন আমাকে হাজিরা দিতে বলেছেন, নির্দিষ্ট সময়ের পাঁচ মিনিট আগে সেখানে উপস্থিত হয়ে যেতাম আমি। অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কেও ডাকা হয়েছে। তিনিও আইনের মাধ্যমে এর বিরুদ্ধে লড়ছেন, হাজিরা দিয়েছেন, মাথা উঁচু করে বেরিয়ে এসে প্রতিহিংসার রাজনীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। তবে অনুব্রত মণ্ডলের ক্ষেত্রে কি তা তাঁর চিকিৎসক বলতে পারবেন, আমার কিছু বলার নেই।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন