সৌগতর যত বয়স বাড়ছে, কথাবার্তায় অপরাধীসুলভ গন্ধ বাড়ছে - এভাবেই তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শানালেন সিপিআই(এম) নেতা সুজন চক্রবর্তী।
বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা সৌগত রায়ের একের পর এক বেলাগাম মন্তব্যের জেরে ক্ষোভে ফুঁসছে বিরোধী রাজনৈতিক শিবির। প্রকাশ্যে বিষ্ফোরক মন্তব্য করে কার্যত নিজেই বিপাকে পড়েছেন তিনি।
সোমবার, উত্তর চব্বিশ পরগণার পানিহাটির এক জনসভা থেকে হুমকির সুরে তৃণমূল নেতা বলেন, "কেউ যদি এই সাহস করে তৃণমূলের সবাইকে চোর বলার, তাহলে তার বিরুদ্ধে কিন্তু আমরা রুখে দাঁড়াবো, তাঁকে উপযুক্ত শিক্ষাও দেবো। আমরা চোর না হয়ে চোর বদনাম শুনতে পারবো না। আর আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে কুৎসা বা অপপ্রচার সহ্য করব না।' একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, "এই যে একটা বিষাক্ত আবহাওয়া তৈরি হয়েছে, সবাই বোধ হয় চুরি করেছে, এই বিষাক্ত আবহাওয়া থেকে বেরিয়ে আসতে হবে৷"
তৃণমূল সাংসদের এই মন্তব্যের পরেই মুখ খুলেছেন সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, "দলে কাকে কী শাস্তি দেওয়া হবে, সেই নিদান দিতে পারেন একমাত্র সুপ্রিমো৷ সৌগতবাবুর কথার কী মূল্য আছে জানি না৷ বরাবরই আমরা বলতে চেয়েছি তৃণমূলের নেতারা চোর৷"
তিনি আরও জানান, "সবাই কেন চোর হবেন? সমর্থকরা তো চুরি করেননি৷ তাঁরা তো তৃণমূলকে ভালবেসেছেন৷ পার্থ-অনুব্রতর ঘটনার পর সমর্থকরা অস্বস্তিতে৷ এতে নেতারা ভয় পেয়ে গিয়েছেন৷ তারপর ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন৷ মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব এভাবে যাঁরা হুমকি দিচ্ছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার৷ "
প্রসঙ্গত, পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর কামারহাটির জনসভা থেকে বিরোধীদের উদ্দেশ্যে বেলাগাম মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল সৌগত রায়কে। তিনি বলেছিলেন - "তৃণমূলের সমালোচকদের গায়ের চামড়া দিয়ে পায়ের জুতো তৈরি হবে। তৃণমূলের সব চোর বলে মিছিল করলে পার্টি অফিসে ঢুকে যেতে হবে।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন