শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই জেল হেফাজতে রয়েছে তৃণমূলের হেভিওয়েট মন্ত্রী, বিধায়ক, আমলারা। এরই মধ্যে শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বিরুদ্ধে বিষ্ফোরক অভিযোগ করেছেন শিক্ষাসচিব মণীষ জৈন। তাঁর কথায়, ব্রাত্যর নির্দেশেই অযোগ্যদের চাকরি বাঁচাতে অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরীর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগের বিরুদ্ধে এবার মুখ খুললেন মন্ত্রী।
সংবাদমাধ্যমে ব্রাত্যর দাবি, শিক্ষক নিয়োগে শূন্যপদ পূরণ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্যের মন্ত্রিসভা। সেই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতেই শিক্ষাসচিব মণীষ জৈনকে আইনি পরামর্শ নিতে বলা হয়। শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, মন্ত্রীসভার সিদ্ধান্ত হওয়ার পর আমি অবশ্যই শিক্ষাসচিবকে আইনি পরামর্শ নিতে বলেছিলাম।
শুক্রবার আদালতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে শুনানি চলাকালীন মণীষ বাবু 'উপযুক্ত স্তর'-র কথা উল্লেখ করেছিলেন। উপযুক্ত স্তরের মধ্যে ঠিক কারা কারা রয়েছেন তা না বললেও, তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন ব্রাত্য বসুর নাম।
এই প্রসঙ্গে ব্রাত্যর বক্তব্য, মাননীয় বিচারপতি আজ কী জানতে চেয়েছেন বা তাঁর কাছে শিক্ষাসচিব কী জানিয়েছেন, সবটাই আদালতে হয়েছে। পুরোটাই আইনি বিষয়, এই সবকিছুর পিছনেই আইনি ব্যাখ্যা থাকে। আমার এই বিষয়ে এখন কিছুই বলার নেই। কিছু বলার হলে নিশ্চয়ই উপযুক্ত জায়গা থেকে বলা হবে।
অন্যদিকে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অতিরিক্ত শূন্যপদের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর তৃণমূল নেতাকে এক হাত নিয়েছেন সিপিআই(এম) নেতা সুজন চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, "ব্রাত্য বসুকে অবিলম্বে আদালতে ডাকতে হবে। এটা পুরো অর্গানাইসড ক্রাইম, কোনও একজন বা দু'জনের ব্যাপার না। শিক্ষাদপ্তরের আধিকারিকরা সব জেলে। মন্ত্রী, উপাচার্য, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, এসএসসি-র চেয়ারম্যান, মুখ্যমন্ত্রীর তৈরী করা উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান সব জেলে।"
তিনি আরও বলেন, "হাইকোর্ট যখন অযোগ্যদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিল, সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে! এমনকি কোর্টের সেই অর্ডারকে চ্যালেঞ্জ করে মুখ্যমন্ত্রী ভাষণ দিয়ে দিলেন। তার মানে উনি দুর্নীতির চাকরিকে রক্ষা করে, ন্যায্য চাকরিকে বাতিল করতে চাইছেন।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন