যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৃত্যু ঘটনায় এবার বিস্ফোরক হস্টেল সুপার। সরাসরি কর্তৃপক্ষের দিকেই দায় ঠেললেন তিনি। তাঁর কথায় হস্টেলে রাতে মদের আসর বসতো, র্যাগিং হতো। কর্তৃপক্ষ সব জানতো কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
গত ১০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল থেকে পড়ে মৃত্যু হয় প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার। তারপরই উঠে আসে র্যাগিং তত্ত্ব। 'স্বাধীন' ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই বর্তমান এবং প্রাক্তন পড়ুয়া মিলে ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবার এই নিয়ে কর্তৃপক্ষের দিকে আঙুল তুললেন হস্টেল সুপার।
এক সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, যাদবপুরে প্রথম বর্ষের পড়ুয়া এলে ইন্ট্রোডিউজ প্রোগ্রাম চলতো। প্রাক্তনীদের তীব্র প্রভাব ছিল হস্টেলগুলিতে। কোনো অবৈধ কাজে বাধা দিলে কটূক্তি উড়ে আসতো। হস্টেলের ছাদে, বারান্দায় এবং ঘরে র্যাগিং চলতো। সব জানা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
তিনি আরও বলেন, রাতে মদ ও বিভন্ন নেশার দ্রব্য নিয়ে আসর বসতো। সকালেও দেখতাম নেশার জিনিস খাচ্ছে। কিছু বলতেও পারতাম না। খারাপ লাগতো। ঘটনার দিন আমাকে অন্য ব্লকের সুপার ফোন করে বলেন একজন ছাত্র পড়ে গেছে তিন তলা থেকে। আমি গিয়ে দেখি ওই পড়ুয়াকে নিয়ে হাসপাতালে চলে গেছে।
প্রসঙ্গত, এই সুপারের বিরুদ্ধে ঘটনার দিন গেট বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন হস্টেলের নিরাপত্তা রক্ষীরা। নিরাপত্তা রক্ষীরা জানিয়েছিলেন, হস্টেলের সুপার নির্দেশ দিয়েছিলেন গেট বন্ধ করে দিতে। কাউকে যেন বাইরে থেকে ঢুকতে দেওয়া না হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তের স্বার্থে লালবাজারে ডাকা হতে পারে সুপারকে। সম্ভবত দু'জন সুপারকেই তলব করতে পারে পুলিশ। অন্যদিকে ঘটনায় ধৃত ৯ জনের ১২ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পরে যে ৬জন পড়ুয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল তাদের ল্যাপটপ ও মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে। ধৃতদের মোবাইলগুলি ফরেন্সিক টেস্টের জন্যও পাঠানো হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন