বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির নির্দেশেকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন চাকরিহারা ববিতা সরকার। মামলা দায়েরের অনুমতি দিলো বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ।
সম্প্রতি, বিচারপতি গাঙ্গুলির নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন ববিতা সরকার। যদিও পুরো বিষয়টিতে বার বার পর্ষদের গাফিলতির কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। এবার ডিভিশন বেঞ্চে গেলেন তিনি। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ববিতার আইনজীবী ফিরদৌস শামিম।
প্রসঙ্গত, পরেশ অধিকারী প্রভাব খাটিয়ে বেআইনিভাবে নিজের মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন, এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ববিতা সরকার। ববিতার অভিযোগের ভিত্তিতে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি গাঙ্গুলি। সাথে প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা ববিতা সরকারকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন।
ববিতার নিয়োগের কয়েকমাস পরেই তাঁর চাকরি বাতিলের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শিলিগুড়ির বাসিন্দা আনামিকা রায়। তাঁর অভিযোগ, স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে আবেদন করার সময় স্নাতকস্তরের শতকরা নম্বর বাড়িয়ে দেখিয়েছেন ববিতা। স্নাতক স্তরে ৮০০ নম্বরের মধ্যে ৪৪০ নম্বর পেয়েছিলেন ববিতা। অর্থাৎ, শতকরা হিসাবে ৫৫ শতাংশ। অথচ, আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে স্নাতক স্তরে ৬০ শতাংশ বা তার বেশি পেয়েছেন তিনি।
অনামিকার দাবি, এর ফলে ববিতার ‘অ্যাকাডেমিক স্কোর’ বেড়ে গিয়েছে। যদি সঠিক অ্যাকাডেমিক স্কোর ধরা হয়, তাহলে ববিতার র্যাঙ্ক অনেক পিছিয়ে যাবে এবং যোগ্য প্রার্থী হিসাবে ২০ জনের তালিকায় ২০ নম্বরে উঠে আসবে তাঁর নাম। অর্থাৎ চাকরিটা তাঁরই পাওয়ার কথা।
সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখে বিচারপতি গাঙ্গুলি নির্দেশ দেন ববিতা সরকারের চাকরি বাতিল করতে হবে। পাশাপাশি বলেন, অঙ্কিতা অধিকারীর থেকে বেতন বাবদ পাওয়া প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা অনামিকা রায়কে ফেরত দিতে হবে ববিতা সরকারকে। রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে এই টাকা ফেরত দিতে হবে। প্রথমে ১১ লক্ষ টাকা ১৯ মে-র মধ্যে জমা দিতে হবে। বাকি টাকা ৬ জুনের মধ্যে জমা করতে হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন