বিশিষ্টজনদের বঙ্গভূষণ ও বঙ্গবিভূষণ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান বয়কট করার আবেদন জানালেন সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। পাশাপাশি অভিজিত বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবশঙ্কর হালদারদের মতো বিশিষ্টজনদের তিনি অনুরোধ করেছেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের জন্য বক্তব্য রাখতে।
শনিবার ইডির হাতে গ্রেপ্তার হন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। খবর ছড়িয়ে পড়তেই শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হন বিরোধীরা। ধর্মতলায় চাকরিপ্রার্থীদের ধর্না মঞ্চ থেকে দাবি ওঠে দুর্নীতিতে যুক্ত সকলকে গ্রেপ্তার করতে হবে। সেই মঞ্চেই উপস্থিত থেকে বঙ্গভূষণ ও বঙ্গবিভূষণ পুরস্কার বয়কট করার ডাক দেন সুজন চক্রবর্তী। সম্মান প্রাপকদের উদ্দ্যেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে যে দুর্নীতি হয়েছে, তা ইতিমধ্যে স্বাধীন ভারতের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ষড়যন্ত্রের লজ্জাজনক তকমা পেয়েছে। এই সময়ে দাঁড়িয়ে, এক বামপন্থী সহনাগরিক হিসেবে আপনাদের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ, আগামী ২৫ জুলাই নজরুল মঞ্চে রাজ্য সরকার আয়োজিত এবছরের বঙ্গভূষণ ও বঙ্গবিভূষণ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান বয়কট করুন আপনারা’।
কয়েকজন বিশিষ্টজনের নামও উল্লেখ করেন সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবশঙ্কর হালদারদেরকে অনুরোধ জানাচ্ছি চাকরিপ্রার্থীদের জন্য কিছু বলুন। আপনারা সকলেই পুরস্কারের যোগ্য। কিন্তু এই দুর্নীতিবাজ সরকারের কাছে থেকে পুরস্কার নেওয়ার বদলে চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যতের কথা ভাবুন।
তিনি তাঁদের আরও উদ্দেশ্যে বলেন, ভবিষ্যৎ মনে রাখবে, যখন একটা স্বৈরাচারী সরকার মানুষের উপর আঘাত নামিয়ে এনেছিল, তখন বাংলার বুদ্ধিজীবীরা সরকার নয়, মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। বাংলার ইতিহাস আপনাদের আজকের ভূমিকাকে মনে রাখবে।
প্রসঙ্গত, এদিন এক চাকরীপ্রার্থী জানান, গ্রেপ্তার হচ্ছে হোক কিন্তু আমাদের নিয়োগ অবিলম্বে করতে হবে। তাঁরা ৪৯৬ দিন পথে রয়েছেন। নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের আন্দোলন থামবে না।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন