ভারতে চিকিৎসা করাতে এসে মৃত্যু হল বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল আজিমের। নিখোঁজ হওয়ার আটদিন পর বাংলাদেশের সাংসদের দেহ উদ্ধার হল কলকাতায়। বুধবার ভোরে নিউটাউনের সঞ্জীব গার্ডেনের একটি ফ্ল্যাট থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের কাছে উঠে আসছে খুনের তত্ত্ব। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বাংলাদেশের শাসকদল আওয়ামি লিগের ৩ বারের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম। ঝিনাইদহ-৪ থেকে টানা তিনবারের সাংসদ ও কালীগঞ্জে আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন আনোয়ারুল। জানা গেছে, চিকিৎসা ও বন্ধুর মেয়ের বিয়ে উপলক্ষ্যে গত ১২ মে কলকাতায় আসেন তিনি। ১৪ মে পর্যন্ত তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। কিন্তু তারপর থেকে বন্ধ হয়ে যায় তাঁর ফোন।
সাংসদের ব্যক্তিগত সহকারী আবদুর রউফ জানিয়েছেন, গত ১৬ মে তাঁর কাছে সাংসদের ফোন থেকে একটি ফোন আসে। কিন্তু সেই সময় তিনি সেটি তুললে পারেননি। পরবর্তীতে তাঁকে ফোন করলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর থেকে সাংসদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি।
জানা গেছে, সাংসদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাঁর পরিবার। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর যোগাযোগ করে দিল্লি ও কলকাতায় বাংলাদেশের দূতাবাসের সঙ্গে। ওই সাংসদের খোঁজে তদন্ত শুরু করে বাংলাদেশ দূতাবাস ও বিধাননগর পুলিশ। তদন্তে নেমে একাধিক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, কলকাতায় এসে তিনি উঠেছিলেন দীর্ঘদিনের পরিচিত বরানগরের বাসিন্দা গোপাল বিশ্বাস নামের এক বন্ধুর বাড়িতে। সেখানে দু’দিন থাকার পর ১৪ মে তিনি বন্ধুকে জানান জরুরী কাছে যাচ্ছেন, রাতে ফিরবেন। তবে তার পরদিনও সাংসদ না ফেরায় উদ্বিগ্ন গোপাল থানায় গিয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পুলিশের তরফেও তাঁকে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন সুইচ অফ পাওয়া যায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তে নেমে ওই দিন নিউমার্কেট এলাকাতে তাঁর ফোন সচল অবস্থায় পাওয়া যায়। এরপর ১৭ মে বিহারের কোনো এক জায়গায় তাঁর ফোন সচল অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। এরপর বুধবার সকালে নিউটাউনের এক ফ্ল্যাট থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও একটি সূত্রে খবর, কলকাতায় এসে নিউটাউনের এক ফ্ল্যাট ভাড়া নেন আনোয়ারুল। সেখানে এক মহিলা সঙ্গী-সহ তাঁর সঙ্গে ছিলেন বেশ কয়েকজন। সেখানেই তিনি খুন হয়েছেন বলে ধারণা পুলিশের। তবে কে বা কারা তাঁকে খুন করল তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন