পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের জন্য জয়ী আইএসএফ প্রার্থীর বদলে বৈঠকে ডাকা হয়েছে তৃণমূলের পরাজিত প্রার্থীকে। এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আইএসএফ প্রার্থী। মঙ্গলবার পুরো বিষয়টি নিয়ে ভুল স্বীকার করেছে রাজ্য।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রথম থেকেই বার বার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল ভাঙড়। ফল ঘোষণার পরেও অশান্তি ছড়িয়েছিল সেখানে। এবার বোর্ড গঠন নিয়েও শাসক বিরোধী টানাপড়েন। ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের ভোগালি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। সেখানে আইএসএফ-র টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন বসিরুদ্দিন। তৃণমূল প্রার্থী আখের আলি মোল্লা পরাজিত হয়েছিলেন। কিন্তু বিডিও বোর্ড গঠনের বৈঠকে আইএসএফ প্রার্থীর বদলে পরাজিত তৃণমূল প্রার্থীকে ডেকেছেন বলেই অভিযোগ উঠছে।
আইএসএফ প্রার্থীর অভিযোগ, তিনি ৫৯৫টি ভোট পেয়েছিলেন। তৃণমূল প্রার্থী পেয়েছিলেন ৩৮৭টি ভোট। জয়ের শংসাপত্রও দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু বোর্ড গঠনের জন্য বৈঠকে তাঁকেই বাদ দিলেন বিডিও। সোমবারই মামলা দায়েরের অনুমতি দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
মঙ্গলবার আদালতে শুনানি চলাকালীন রাজ্যের তরফ থেকে এবং খোদ বিডিও পুরো বিষয়টি ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন। পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন বুধবার দুপুর ১২টার সময় সকল সদস্যদের শপথগ্রহণ ও বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া শুরু হবে। ১৮ সদস্যের মধ্যে জয়ী আইএসএফ প্রার্থীকেও ডাকা হবে। বিচারপতি সিনহাও আগামীকালের মধ্যে বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন।
অন্যদিকে, ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকে ফের জারি করা হলো ১৪৪ ধারা। পুলিশ সূত্রে খবর, সামনেই বোর্ড গঠন রয়েছে সেই জন্যই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের রাখতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে ১৩ অগাস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত কাশীপুর থানা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। এর আগে ভাঙড়ে ১৪৪ ধারা জারি থাকায় নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে ঢুকতে পারেননি খোদ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন