রাজ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশনের পাশাপাশি এবার পাবলিক সার্ভিস কমিশনেও ভুয়ো নিয়োগের অভিযোগ উঠে এল। পাশ না করেই বিডিও পদে নিয়োগ কালচিনিতে। এ বিষয়ে আজ চাকরিপ্রার্থীরা টালিগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
WBCS পরীক্ষার প্রিলিমিনারি বিভাগে পাশ না করেও কিভাবে বিডিও পদে চাকরি পেলেন প্রশান্ত বর্মন? বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ২০১৭ সালে WBCS (Group A) পরীক্ষার প্রিলিমিনারিতে অকৃতকার্য হয়েছিলেন প্রশান্ত বর্মন। RTI রিপোর্ট অনুযায়ী তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ছিল ১৩। যেখানে Cut off ছিল ১২২। তা স্বত্ত্বেও Main পরীক্ষার জন্য তাঁর ডাক আসে। তাঁর বিরুদ্ধে সাদা খাতা জমা দেওয়ারও অভিযোগ আসে। প্যানেল বেরোলে সেখানে দেখা যায় প্রশান্ত বর্মন প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। তাঁর নামে কোর্টে কেস চলছে। এই অভিযোগে বৃহস্পতিবার PSC অফিস অভিযান করে 'দুর্নীতি মুক্ত মঞ্চ'। PSC অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়।
বিক্ষোভকারীদের দাবি,
১) সমস্তরকম আইনি জটিলতা কাটিয়ে অবিলম্বে ২০১৮ সালে Food-এর SI পদে অবিলম্বে নিয়োগ করতে হবে।
২) নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে।
৩) ক্লার্কের পরীক্ষার চূড়ান্ত মেধাতালিকা আগামী ১৫ জুনের মধ্যে একসাথে প্রকাশ করতে হবে। এছাড়াও,
৪) ICDS সুপারভাইজার পদে নিয়োগের লিস্ট প্রকাশ করতে হবে। কোভিডের কারণে যেহেতু ২ বছর কোনো পরীক্ষা হয়নি তাই সমস্ত পরীক্ষায় ২ বছর করে বয়সের ছাড় দিতে হবে।
৫) অভিযুক্ত প্রশান্ত বর্মনকে অবিলম্বে শাস্তি দিতে হবে।
এ প্রসঙ্গে PSC দুর্নীতি মুক্ত মঞ্চের পক্ষ থেকে ইন্দ্রজিৎ ঘোষ বলেন, "আমরা ২০১৮ সাল থেকে এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছি। অবিলম্বে প্রশান্ত বর্মনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে। বেতনের সমস্ত টাকা ফেরত দিতে হবে। নিয়োগে দুর্নীতির সাথে যুক্ত সব চোরেদের শাস্তি না পাওয়া পর্যন্ত এ লড়াই চলবে। প্রয়োজনে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব।"
তিনি আরও বলেন, "টালিগঞ্জ থানায় এ ব্যাপারে লিখিতভাবে অভিযোগ জানানো হয়।" যদিও প্রশান্ত বর্মনের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে বিক্ষোভকারীদের এই আন্দোলনকে সংহতি জানিয়েছে বামেরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন