বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (DA)-র দাবিতে আগামী ৩০ মার্চ, গণ-ছুটির ডাক দিয়েছে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ। সরকারের উপর চাপ বাড়াতে এদিন কাজে যোগ দেবেন না সরকারী কর্মীরা। মঙ্গলবার রাতে সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা ঘোষণা করেছেন যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ।
একইদিনে হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকে কলকাতায় মহামিছিল এবং শহীদ মিনারে বিশাল জমায়েতের ডাক দিয়েছে সরকারী কর্মচারীদের সংগঠন।
উল্লেখ্য, এই একইদিনে (৩০ মার্চ), কেন্দ্রীয় বঞ্চনা এবং বিভিন্ন প্রকল্পে বকেয়া অর্থের দাবিতে দিল্লিতে অবস্থান বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বি আর আম্বেদকরের মূর্তির সামনে ধর্নায় বসবেন তিনি।
কলকাতা হাই কোর্টের রায়কে মান্যতা দিয়ে AICPI অনুযায়ী বকেয়া D.A. প্রদান এবং সরকারি কর্মক্ষেত্রে স্বচ্ছভাবে, শূন্যপদে স্থায়ী নিয়োগের দাবি তুলেছেন সরকারি বেতনভূক কর্মীরা। দীর্ঘদিন ধরে এই দাবিতে তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু, তৃণমূল সরকার তাঁদের দাবিকে মানেনি।
উল্টে অভিযোগ উঠেছে, সরকারি কর্মীদের ন্যায্য দাবি ও আন্দোলনকে দমাবার চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। বোমা মেরে অনশন মঞ্চ উড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও পেয়েছেন আন্দোলনকারীরা। যা নিয়ে FIR দায়ের হয়েছে ময়দান থানায়। তবে, তারপরেও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন সরকারি কর্মীরা।
এদিন, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে একাধিক কর্মসূচীর কথা জানানো হয়েছে। জানা যাচ্ছে, বকেয়া D.A.-র দাবীতে আগামী ২৬ মার্চ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে মেল পাঠাবেন সরকারি কর্মীরা। একই দাবিতে, ২৭ মার্চ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও মেল পাঠাবেন তাঁরা।
এরপর, ৩০ মার্চ, গণ-ছুটিতে যাবেন ‘বঞ্চিত’ সরকারি কর্মীরা। এছাড়া, ১০ ও ১১ এপ্রিল, দিল্লির যন্তর মন্তরে দুই দিনের অবস্থান বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে ৬২ টি রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠনের সম্মিলিত সংগঠন - যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ।
জানা যাচ্ছে, এই অবস্থান বিক্ষোভের মাঝে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ও কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের সঙ্গে দেখা করবেন যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের প্রতিনিধিরা।
এর আগে বকেয়া DA-র দাবিতে ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি টানা ২ দিন সরকারি দফতরে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। এরপর ১০ মার্চ রাজ্যজুড়ে ধর্মঘট পালন করেন তাঁরা।
শুধু তাই নয়, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ‘ডিজিটাল অসহযোগ’ আন্দোলন পালন করছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা।
যৌথ মঞ্চের এক মুখপাত্র জানান, ‘বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আমাদের আইনি লড়াই চলছে। একইসঙ্গে রাজপথে আমাদের আন্দোলন চলছে। কলকাতার পাশাপাশি এই আন্দোলনকে আমরা দেশের রাজধানীতেও নিয়ে যাব।’
-With IANS Inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন