রাজ্যের ৬০টি পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি - চাপে পড়ে তদন্তের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকারও

স্বচ্ছ নিয়োগে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘কোনও সংস্থা যদি ভিতর থেকে কিছু করে, এটাতে তো আমার কিছু করার নেই। তবে যতটা সতর্ক করা উচিত, তা করা হবে।’
ফিরহাদ হাকিম ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
ফিরহাদ হাকিম ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় অর্থের বিনিময়ে কর্মী নিয়োগে হয়েছে বলে যে দাবি করেছে ইডি, তা নিয়ে বেজায় চাপে পড়েছে তৃণমূল সরকার। এ নিয়ে তদন্ত শুরু করতে পারে রাজ্য সরকার।

বুধবার, রাজ্যের পৌর বিষয়ক ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘সবকিছু পর্যালোচনা করা হচ্ছে। আমরা ডিপার্টমেন্টকে বলেছি কী তথ্য পাওয়া যাচ্ছে দেখে নিতে। আমাদের কী কী কাজগপত্র আছে, তা দেখে রাখতে।’

একইসঙ্গে তিনি জানান, ‘আদালত এখনও এই বিষয়ে আমাদের কোনো সুনির্দিষ্ট আদেশ দেয়নি। সুতরাং, এখনই আমরা আগ বাড়িয়ে কিছু করছি না। তবে, সত্যি সত্যি কোথাও দুর্নীতি হয়েছে কিনা তা দেখা হবে। পৌরসভাগুলি যখন (কর্মী নিয়োগের) এই দায়িত্ব কাউকে দিয়েছে, তখন ফার্ম হিসাবে দিয়েছে কিনা, অন্যকিছু - আমরা এখনও সেই তথ্য পাইনি।’

স্বচ্ছ নিয়োগে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার ভূমিকা ও আগামীতে সতর্কতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘কোনও সংস্থা যদি ভিতর থেকে কিছু করে, এটাতে তো আমার কিছু করার নেই। তবে যতটা সতর্ক করা উচিত, তা করা হবে।’

গত সোমবার, ইডি দাবি করে, রাজ্যের প্রায় ৬০টি পুরসভাতে অর্থের বিনিময়ে কর্মী নিয়োগ হয়েছে। আর, এই নিয়োগ সংক্রান্ত নথি তাঁরা উদ্ধার করেছে শান্তনু ব্যানার্জির ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলের অফিস থেকে।

ইডি সূত্রের খবর, অয়ন শীল রাজ্যের ৬০টি পুরসভায় প্রায় ৫ হাজার কর্মী নিয়োগ করেছিলেন। পুরসভার সাফাই কর্মী, গাড়ির চালক পদের জন্য নেওয়া হতো ৪ লক্ষ টাকা। গ্রুপ সি, টাইপিস্টের জন্য পরীক্ষার্থী পিছু নিতেন ৭ লক্ষ টাকা। এই সবগুলি হল ন্যূনতম মূল্য। প্রার্থীর আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে রেট বাড়ানো হতো। ২০১৪-১৫ সাল নাগাদ এই চাকরি বিক্রির কারবার শুরু করেছিলেন অয়ন শীল বলে জানা যাচ্ছে।

ইডি সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে, উত্তর ও দক্ষিণ দমদম, হালিশহর, কামারহাটি, পানিহাটি, বরাহনগর, ডায়মন্ড হারবার-সহ রাজ্যের একাধিক পুরসভাতে নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে। এতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে অয়ন শীলের সংস্থা।

ফিরহাদ হাকিম ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
DA দেওয়ার টাকা নেই! এক বছরে মন্ত্রী, MLA-দের জন্য সরকার খরচ করেছে ৫২ কোটি টাকা
ফিরহাদ হাকিম ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
২ বছরের জেলের সাজার নির্দেশে সাংসদ পদ খোয়াতে পারেন রাহুল - ‘কাপুরুষ BJP সরকার’ আক্রমণ কংগ্রেসের

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in