রাম নবমীর (Ram Navami) মিছিল ঘিরে হিংসাত্মক হয়ে ওঠে হাওড়া, রিষড়া, ডালখোলার একাধিক এলাকা। প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে চলে সংঘর্ষ ও অশান্তির ঘটনা। এবার সেই ঘটনা নিয়ে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেটিং এজেন্সি বা এনআইএ (NIA)-কে তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।
বৃহস্পতিবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ রায়ে জানিয়েছে, এই ৩টি জায়গায় অশান্তির ঘটনায় যাবতীয় তদন্তের নথি আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা NIA’র হাতে তুলে দিতে হবে। তবে নবান্ন সূত্রে খবর, এই রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাবে।
রামনবমীর মিছিল ঘিরে হাওড়ার শিবপুর, হুগলির রিষড়া, উত্তরবঙ্গের ডালখোলায় হিংসার ঘটনায় রাজ্য পুলিশ যথাযথ তদন্ত করতে পারবে না। তাই কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা খুঁজে বার করতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হোক। এই দাবি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
তাঁর দাবি ছিল হয় CBI না হয় NIA-কে এই তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হোক। শুভেন্দুর মামলা আদালতে জনস্বার্থ মামলা হিসাবেই দায়ের করা হয়। গত ১০ এপ্রিল শুনানির দিন হাইকোর্টে NIA জানিয়েছিল, তারা ওই অশান্তির ঘটনাগুলির তদন্ত করতে প্রস্তুত।
এর পর ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল, কারা এই অশান্তির ঘটনায় জড়িত এবং কারা উস্কানি দিয়েছে, তা জানা রাজ্য পুলিশের পক্ষে সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের প্রয়োজন। হাইকোর্টের আরও পর্যবেক্ষণ, পুলিশের রিপোর্টে স্পষ্ট যে, অশান্তি হয়েছে।
অশান্ত এলাকাগুলিতে ইন্টারনেট বন্ধ করার ঘটনা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। তিনি বলেন, 'ওই সব এলাকায় ইন্টারনেট বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। এটা কেন? সাধারণত বাইরে থেকে কোনও আক্রমণ হলে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়। একটি অশান্তির জেরে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয় না। এই সব ঘটনা সাধারণ মানুষকে চিন্তিত করে।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন