‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের সঙ্গে যুক্ত এক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের কেওয়াইসি সংক্রান্ত তথ্য খুঁজছে ইডি। রাজ্যের স্কুল নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। কয়েক দিন আগেই সুজয় কুমার ভদ্রের অফিস লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে ম্যারাথন তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি।
ওই তল্লাশি অভিযানের পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা ইতিমধ্যেই যে সমস্ত ব্যাঙ্কে ওই সংস্থার অ্যাকাউন্ট ছিল, সেই সমস্ত ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছে কেওয়াইসি সংক্রান্ত তথ্য পেতে যোগাযোগ শুরু করেছেন।
গত সপ্তাহে এক প্রেস বিবৃতি জারি করে ইডি জানায়, এই সপ্তাহের শুরুতে সংস্থার দপ্তরে তল্লাশি অভিযানের সময় কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দারা বেশ কিছু "অপরাধমূলক নথি এবং ডিজিটাল প্রমাণ" সংগ্রহ করেছে।
সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র বর্তমানে কলকাতার এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত মঙ্গলবার ইডি গোয়েন্দারা কর্পোরেট সংস্থার অফিসে তল্লাশি অভিযান শেষ করার পর সুজয় ভদ্র বুকে ব্যথার কথা জানানোর পর তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়।
সূত্র অনুসারে কেওয়াইসি সংক্রান্ত বিশদ তথ্য ছাড়াও, কেন্দ্রীয় সংস্থা এই ব্যাঙ্কগুলির সাথে ওই সংস্থার অ্যাকাউন্টগুলির বিশদ বিবৃতিও চেয়েছে।
ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব স্কুল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চাকরি দেবার বিনিময়ে টাকা নেবার অভিযোগে কারাগারে দিন কাটাচ্ছেন। এঁদের মধ্যে আছেন, পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী এবং তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শাসক দলের বিধায়ক এবং পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডের (ডব্লিউবিবিপিই) প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য, তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহা এবং রাজ্য শিক্ষা বিভাগের অধীনে বিভিন্ন শিক্ষা সংস্থার একাধিক শীর্ষস্থানীয় আধিকারিক৷
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন