যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করা হল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের অধ্যাপক ভাস্কর গুপ্তকে। তাঁকে অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসাবে মনোনীত করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সোমবার সন্ধ্যা থেকেই দায়িত্ব গ্রহণ করেন ভাস্কর।
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগের লক্ষ্যে রাজ্য ও রাজ্যপালের সংঘাত ছিল তুঙ্গে। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের তরজা দেখেছে গোটা রাজ্য। এই আবহে সোমবার রাজ্যের তালিকা মেনেই ভাস্করকে উপাচার্য হিসাবে নির্বাচিত করায়, মনে করা হচ্ছে সেই সংঘাত কিছুটা মিটেছে। অন্যদিকে, রাজ্যপালের এই পদক্ষেপে অভিনন্দন জানিয়েছেন ব্রাত্য বসু।
এ দিন ব্রাত্য এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, "যাদবপুরের উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক ভাস্কর গুপ্তের নাম মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদনক্রমে উচ্চশিক্ষা দফতরই সুপারিশ করেছিল। আশা করা যায়, আচার্য অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেও রাজ্য সরকারের সুপারিশমাফিক উপাচার্যদের নিয়োগ করবেন। সুবুদ্ধির উদয়ের জন্য আমি মাননীয় আচার্যকে অভিনন্দন জানাই।’’ পাশাপাশি এদিন ভাস্করকেও অভিনন্দন জানিয়েছেন ব্রাত্য বসু।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ওই আসনে বসানো হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাউকে। তবে ডিসেম্বর মাসে সমাবর্তনের একদিন আগেই তাঁকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেন রাজ্যপাল। তারপর থেকে ওই পদটি শূন্য ছিল। এরপর শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয় শূন্যপদ পূরণ করার।
সেই নির্দেশ মেনে গত শনিবার রাজ্য সরকারের তালিকায় থাকা শিক্ষাবিদদের রাজভবনে ডেকে পাঠানো হয়। সেই তালিকায় নাম ছিল ভাস্করেরও। তবে সেদিন রাজ্যপাল নিজে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেননি। রাজ্যপালের অধীনস্থ এক আধিকারিক তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন।
রাজভবন সূত্রে খবর, সেই বৈঠকে যাদবপুরের অন্তর্বর্তী উপাচার্য হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন ভাস্কর। এরপর তাঁকে সোমবার সন্ধ্যায় রাজভবনে ডেকে পাঠিয়ে নিয়োগ পত্র তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন