ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন করানোর জন্য নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানানোয় মুখ্যসচিবের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। ওই কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাঁড়ানোর কথা।
সোমবার ওই আবেদনের শুনানি হতে পারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের বেঞ্চে। নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে রাজ্য সরকারের অনুরোধে বিশেষভাবে বিবেচনার বিষয়টির উল্লেখ থাকায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
মুখ্য সচিব এইচ কে দ্বিবেদীকে উল্লেখ করে কমিশন বলেছে মুখ্য সচিব সংবিধানের ১৬৪(৪) ধারার উল্লেখ করে বলেছেন বিধানসভার সদস্য না হয়েও ছমাস মন্ত্রী থাকা যায় তারপরে নির্বাচন না করা হলে তিনি মন্ত্রী থাকতে পারবেন না। একটা শূন্যতার সৃষ্টি হবে। সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হবে।
মুখ্যসচিব আরও বলেছেন, প্রশাসনিক প্রয়োজনে, জনস্বার্থে এবং রাজ্যে শূন্যতা যাতে না সৃষ্টি হয় তার জন্য ভবানীপুর কেন্দ্রে যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাঁড়াতে ইচ্ছুক,সেখানে নির্বাচন করা হোক।
কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে সাংবিধানিক প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনা করে এবং রাজ্য সরকারের বিশেষ অনুরোধে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও দেশের অন্য ৩১টি বিধানসভা ও ৩টি সংসদীয় কেন্দ্রে নির্বাচন করা হচ্ছে না।
আবেদনকারী সিয়ন বন্দ্যোপাধ্যায় ওই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মুখ্যসচিবের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর প্রশ্ন শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন বলেই রাজ্যের প্রধান আমলার কি বিশেষ কোন একটি কেন্দ্রে নির্বাচন করানোর অনুরোধের এক্তিয়ার আছে?
আবেদনকারীর প্রশ্ন অন্য আরও আসন খালি আছে, শুধু ভবানীপুরকেই কেন বেছে নেওয়া হল।
রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ প্রশ্ন তুলেছেন, কী এমন সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হবে ভবানীপুরে নির্বাচন না হলে। মুখ্যসচিব কী বলতে চাইছেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী না থাকলে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হবে। মুখ্যসচিবের এটা ভাবার বিষয় নয়।নির্বাচন কমিশন স্বশাসিত সংস্থা, তার ওপর কেউ প্রভাব খাটাতে পারবে না।
এদিকে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বৃহস্পতিবার দিল্লীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেছেন। তাদের মধ্যে ভবানীপুর কেন্দ্রের উপ নির্বাচন নিয়ে কথা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
(Except for the headline, this story has not been edited by People's Reporter and is translated and published from a syndicated feed.)
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন