বিজেপির ২০২৩ রাজ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনের স্টিয়ারিং কমিটি থেকে বাদ পড়লেন দলের প্রাক্তন সভাপতি এবং বর্তমান সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিজেপি সাংসদের সঙ্গেই স্টিয়ারিং কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ এবং দিলীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত লকেট চ্যাটার্জি।
বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক মহলকে বিস্মিত করেছে। বিগত ২০১৮ সালের পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনে, তৎকালীন রাজ্য সভাপতি হিসাবে ঘোষের নেতৃত্বে বিজেপি বেশ ভাল কাজ করেছিল এবং বামফ্রন্টকে সরিয়ে পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বিরোধী দল হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিল।
যদিও, ঘোষ এবং দলের বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সহ বিজেপির শীর্ষ নেতারা স্টিয়ারিং কমিটি গঠনের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন। তবে, রাজ্য কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন যে জাতীয় সহ-সভাপতি হিসাবে দিলীপ ঘোষের উপর জাতীয় স্তরের অনেক দায়িত্বের বোঝা ছিল তাই তিনি পঞ্চায়েত নির্বাচন সম্পর্কিত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন।
উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ থেকে বিজেপির লোকসভা সদস্য দেবশ্রী চৌধুরীকে স্টিয়ারিং কমিটির ইনচার্জ করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের অন্য দুই লোকসভা সদস্য নদিয়া জেলার রানাঘাট থেকে জগন্নাথ সরকার এবং বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর থেকে সৌমিত্র খানকে কমিটির সহ-ইনচার্জ করা হয়েছে। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক এবং আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক দীপক বর্মণকে কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে।
হায়দরাবাদে বিজেপির জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ বিশেষ নজরে থাকবে বলে জানা গেছে। "বিজেপি নেতাদের তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসার পরে, বিশেষ করে ব্যারাকপুর লোকসভার দলের হেভিওয়েট সাংসদ, অর্জুন সিং বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেবার পরে দলের মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে যে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদানকারী উপর দল কতটা নির্ভর করতে পারে। যা নিয়ে রাজ্য কমিটিতে বিতর্ক শুরু হয়েছে৷ জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এই প্রশ্ন উত্থাপিত হবার সম্ভাবনা আছে” বলে রাজ্য কমিটির এক সদস্য নিশ্চিত করেছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন