২০১৪ টেট উত্তীর্ণদের নয়া তালিকা প্রকাশ করতেই বিতর্কের মুখে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তাদের প্রকাশিত তালিকায় নম্বর থাকলেও নাম নেই একাধিক পরীক্ষার্থীর। যদিও পর্ষদের সাফাই স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আদালতের নির্দেশে শুক্রবার পর্ষদ ২০১৪ টেট উত্তীর্ণ ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৯৫২ জনের প্রাপ্ত নম্বরের তালিকা প্রকাশ করেছে। ১৮৩২ পাতার তালিকাতে রোল নম্বর, প্রাপ্ত নম্বর থাকলেও বহু পরীক্ষার্থীর নাম বাদ গেছে। শুধু তাই নয় যাঁরা ৮২ পেয়েছেন তাঁদেরও একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকায় আছেন ৭ হাজার ৬৬৫ জনের। এই তালিকায় কোনও পরীক্ষার্থীরই নাম নেই। সকলেই ২০১৪ টেটের সংরক্ষিত পরীক্ষার্থী।
উল্লেখ্য, এর আগে বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি নির্দেশ দিয়েছিলেন যাঁরা টেটে ১৫০-র মধ্যে ৮২ নম্বর পেয়েছেন সকলেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। এই নির্দেশের পরেই ২০১৪ ও ২০১৭-র লক্ষাধিক পরীক্ষার্থী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্যতা অর্জন করেন।
অন্যদিকে, সোমবার ২০১৭ টেট উত্তীর্ণদের তালিকা প্রকাশ করেছে পর্ষদ। পর্ষদের ওয়েবসাইটে ১৮৮ পাতার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। প্রায় ১০ হাজার পরীক্ষার্থীর নাম আছে ওই তালিকায়। পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছিলেন, নম্বরের পাশাপাশি খুব শীঘ্রই পরীক্ষার্থীদের হাতে শংসাপত্র দিয়ে দেওয়া হবে।
কিন্তু ২০১৪ ও ২০১৭ দুই সালের তালিকা প্রকাশ করার সাথে সাথেই সমালোচনার মুখে পড়েছে পর্ষদ। অনেকে প্রশ্ন তুলছেন কী কারণে পরীক্ষার্থীদের নাম প্রকাশ করা হলো না? আর তালিকা যখন প্রকাশ করতেই হলো তাহলে এত বছর সময় লাগলো কেন? ফের কী কোনো তথ্য গোপন করা হচ্ছে?
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন