রাজ্যগুলিতে বিএসএফের কাজের ক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে মঙ্গলবার বিধানসভায় আলোচনা ছিলো। পাশও হল বিএসএফ প্রস্তাব। পক্ষে ১১২টি এবং বিপক্ষে ৬৩টি ভোট পড়ে। সংযুক্ত মোর্চার একমাত্র বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী ভোট দেননি।
কিন্তু প্রস্তাব আলোচনার সময় অশালীন শব্দ প্রয়োগে উত্তাল হয়ে ওঠে অধিবেশন। প্রাক্তন তৃণমূল নেতা তথা বর্তমান বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামীর বিরুদ্ধে অশালীন শব্দ প্রয়োগ করেন তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ। তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্য বিধানসভার কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেওয়ার দাবি তোলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর দলের বিধায়করা।
এদিন বিধানসভায় বিএসএফ নিয়ে আলোচনা চলাকালীন দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ বলেন, 'যদি কোনও শিশু ছোটবেলায় দেখে যে নিরাপত্তার নামে সেনাবাহিনী তার মাকে হেনস্তা করছে, গোপনাঙ্গে হাত দিচ্ছে, তাহলে সে কখনও প্রকৃত দেশপ্রেমিক হতে পারে না।' উদয়নের মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেন নাটাবাড়ির বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী। তিনি চিৎকার করতে থাকেন। তাতেই মেজাজ হারান উদয়ন গুহ। এরপরই বলে ওঠেন, 'আপনার একটা পা ভাঙা, আরেকটা পা-ও ভেঙে দেব।' উদয়নের এই আচরণের পরই দুই দলের মধ্যে বাদানুবাদ শুরু হয়। বিজেপি বিধায়করা একযোগে উদয়নের বিরুদ্ধে সরব হন। বিধানসভায় তুমুল হট্টগোল শুরু হয়।
এরপর শুভেন্দু অধিকারী বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, 'শাসকদলের বিধায়ক আমাদের উদ্দেশ্যে অশালীন ভাষা প্রয়োগ করছেন। হুমকি দিচ্ছেন। এটি এখনই কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেওয়া হোক। নচেৎ ভবিষ্যতে খারাপ উদাহরণ হিসেবেই থেকে যাবে।' উদয়ন গুহর আচরণে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষুব্ধ হলেও এখনও তা কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেওয়া হয়নি।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের নয়া নির্দেশে সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ'র কাজের এক্তিয়ার ১৫ কিমি থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিমি পর্যন্ত করা হয়েছে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। ফলে বিরোধিতা আরও শক্তপোক্ত হয়েছে। তার উপর ভিত্তি করে এদিন বিধানসভায় প্রস্তাবটি পাশ হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন