প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সর্বত্র। রাজনৈতিক দল নির্বিশেষে শোক প্রকাশ করেছেন সকলে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের এক্স হ্যান্ডেলে বুদ্ধবাবুর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে লিখেছেন, "পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের আকস্মিক প্রয়াণে আমি মর্মাহত। বিগত কয়েক দশক ধরেই আমি তাঁকে চিনতাম এবং গত কয়েক বছরে তিনি যখন অসুস্থ ছিলেন তখন আমি কয়েকবার তাঁকে বাড়িতে দেখতে গেছি। এই মুহূর্তে আমি খুব দু:খিত বোধ করছি। এই শোকের সময়ে মীরাদি এবং সুচেতনের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাই।"
সিপিআই(এম)-এর সকল সদস্য-সদস্যা, সমর্থক এবং প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রীর সমস্ত অনুগামীদের আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম সফরে যাওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। জানা গেছে দুপুরে সেই সফরে রওনা হওয়ার আগে বুদ্ধবাবুকে অন্তিম শ্রদ্ধা জানাতে যাবেন তিনি। এছাড়াও রাজ্য সরকারের তরফ থেকে দুই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং ফিরহাদ হাকিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বুদ্ধবাবুর শেষ যাত্রায় সমস্তরকম সহযোগিতা করতে।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার এক ভিডিও বার্তায় শোকপ্রকাশ করে জানিয়েছেন, "মাননীয় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ ছিলেন। মতাদর্শ ভিন্ন হলেও ব্যক্তিগতভাবে আমি ওনাকে ভীষণ সম্মান করতাম। তাঁর পরিবারকে এই দুঃখের মুহূর্তে ঈশ্বর যেন শক্তি প্রদান করেন।"
কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য ছিলেন, "দীর্ঘদিন আমরা একসঙ্গেই ছিলাম, একই কমপ্লেক্সে বাস করছি। তিনি যখন মুখ্যমন্ত্রী, তার আগে যখন তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী ছিলেন, একসঙ্গে থেকেছি। এত দীর্ঘদিন একসঙ্গে থাকাতেও কোনও দিন বিরোধ হয়নি। আমি বাংলা বনধের ডাক দিয়েছি, তিনি বনধের বিরোধিতায়। কিন্তু রাজনীতি কখনও আমাদের বাসার জায়গায় আসেনি, কখনও সম্পর্কে তিক্ততা আসেনি। অত্যন্ত সৌজন্যের সাথে সবসময় কথা হতো।”
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন