শেষ যাত্রায় রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ইতিমধ্যেই তাঁর দেহ এসে পৌঁছেছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে দলের সদর দফতরে। জীবনের প্রায় বেশিরভাগ সময়টা এখানেই কেটেছে তাঁর। বহু লড়াইয়ের সাক্ষী এই আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের সিপিআইএম দফতর।
শুক্রবার পিস ওয়ার্ল্ড থেকে সকাল ১০.৪৫ মিনিট নাগাদ বের করা হয় বুদ্ধবাবুর মরদেহ। পিস ওয়ার্ল্ড থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় বিধানসভায়। সেখানে সমস্ত বিরোধী দলের নেতারা শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। অভিষেক ব্যানার্জি থেকে শুরু করে শুভেন্দু অধিকারী, ফিরহাদ হাকিম, বিধানসভার অধ্যক্ষ সকলেই বুদ্ধবাবুর মরদেহে মাল্য দান করেন। ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে শেষবারের মতো বিধানসভায় পা রেখেছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। এরপর ১৩ বছর পর আজ বিদায়বেলায় তাঁর দেহ নিয়ে আসা হয় বিধানসভায়।
বিধানসভার ৬ নম্বর গেট থেকে বেরিয়ে দেহ চলে আসে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে। সুজন চক্রবর্তী, বুদ্ধবাবুর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য, সন্তান সুচেতন ভট্টাচার্য, মহম্মদ সেলিম সকলে রয়েছেন বুদ্ধবাবুর সাথে। দিল্লি থেকে এসেছেন বৃন্দা কারাত, প্রকাশ কারাত সহ একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব। আলিমুদ্দিনের বাইরে এবং ভিতরে প্রচুর মানুষের ঢল। যত সময় গড়াচ্ছে তত সিপিআইএম কর্মী সমর্থকরা ভিড় জমাচ্ছেন। উপস্থিত রয়েছেন চন্দন সেন, সব্যসাচী চক্রবর্তীর মতো একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বও।
সিপিআইএম, এসএফআই, ডিওয়াইএফআই, সিটু ও অন্যান্য বাম সংগঠনের একাধিক নেতৃত্বও আলিমুদ্দিনে পৌঁছেছেন। শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আলিমুদ্দিনে এসেছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারও।
আলিমুদ্দিনে দুপুর ৩.১৫ পর্যন্ত দেহ রাখা থাকবে। সেখান থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হবে ডিওয়াইএফআই-এর সদর দপ্তর দীনেশ মজুমদার ভবনে। ৩.৪৫ পর্যন্ত দীনেশ মজুমদার ভবনে রাখা হবে দেহ। বিকেল ৩.৪৫ মিনিটে দীনেশ মজুমদার ভবন থেকে দেহদানের জন্য NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের উদ্দেশ্যে মিছিল করে নিয়ে যাওয়া হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন