কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত কতজন প্রভাবশালী ভর্তি আছেন? তাঁদের শরীরের বর্তমান অবস্থা কী? তাঁদের সুস্থ হতে কতদিন সময় লাগবে আর? রাজ্য সরকারের কাছে জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের কাছে এই বিষয়ে হলফনামা চাইল।
প্রসঙ্গত, এসএসকেএম হাসপাতাল প্রভাবশালী অভিযুক্তদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠছে, একাধিকবার এই অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে এই প্রভাবশালীরা হাসপাতালের বেড দখল করে রেখেছেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে আদালতে দায়ের হয়েছিল জোড়া জনস্বার্থ মামলা। সেই মামলার শুনানি ছিল বৃহস্পতিবার।
মামলাকারীর আইনজীবী আদালতকে বলেন, ‘‘কোনও তদন্তে প্রভাবশালীরা গ্রেফতার হলেই এসএসকেএম হাসপাতালে চলে যান। আর ওই হাসপাতাল তাঁদেরকে আশ্রয় দেয়। মদন মিত্র, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও সুজয়কৃষ্ণরা ওখানে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকেন।’’
এরপরই এসএসকেএম হাসপাতালের ডিরেক্টরের কাছে এ ব্যাপারে রিপোর্ট চায় হাই কোর্ট।
এদিন প্রধান বিচারপতি জানতে চান, হাসপাতালে ভর্তি ওই প্রভাবশালীরা কী কী সুবিধা পাচ্ছেন? এঁদের তুলনায় অন্য রোগীদের কী কী সুবিধা দেওয়া হয়? কেন শিশুদের জন্য বরাদ্দ বেডে রাখা হয়েছিল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে?
এদিন শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি অভিযুক্তদের সুস্থ হওয়ার সময় জানতে চাইলে রাজ্যের আইনজীবী জানান ডাক্তাররা এর জবাব দিতে পারবে।
প্রভাবশালীদের এসএসকেএম হাসপাতালে এনে চিকিৎসা প্রসঙ্গে এদিন প্রধান বিচারপতি বলেন, কাউকে গ্রেফতার করার পরেই তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়, তিনি সুস্থ হলে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে জেলে পাঠানো হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে এসব হচ্ছে না। জেলেও হাসপাতাল রয়েছে। অবস্থার অবনতি হলে অন্য হাসপাতালে রেফার করা যায়। কিন্তু এত দিন ধরে কেন হাসপাতালে রাখা হচ্ছে?
প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, এসএসকেএম হাসপাতাল প্রভাবশালী অভিযুক্তদের আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তা সত্যি হলে সেই অভিযোগ গুরুতর৷
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন