বন সহায়ক পদের ইন্টারভিউতে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে এখনই ২০০০ শূন্যপদে নিয়োগ করতে পারবে না রাজ্য।
বন সহায়ক পদে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পরেই বিচারক লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন পুরো প্যানেল বাতিলের। সাথে দ্রুত ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে ওই পদে পুনরায় নিয়োগ করার। সেই মতো বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল। কয়েক হাজার বেকার যুবক যুবতী ফর্ম পূরণ করেছিলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সেই নিয়োগের ইন্টারভিউয়ের উপর স্থগিতাদেশ দিল বিচারপতি ভিএম ভেলুমণি এবং বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, রাজ্য সরকার যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বন সহায়ক পদের জন্য তাতে স্থগিতাদেশ দেওয়া হলো। এই অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ থাকবে ৬ জুলাই পর্যন্ত। পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া কবে সম্পূর্ণ হবে তা বলা যাচ্ছে না।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সৈয়দ মহম্মদ আলি সহ বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টে অভিযোগ করে জানান, ২০২০ সালে সরকার মেধাতালিকা প্রকাশ না করেই বন সহায়ক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। সেক্ষেত্রে কে কত নম্বর পেয়েছে তা স্পষ্ট নয়। নিয়োগপ্রাপ্তরা আদৌ যোগ্য কিনা তাও জানা যাচ্ছে না। সরকারের উচিত মেধাতালিকা প্রকাশ করা। যদিও রাজ্য সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করে।
এই মামলার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি লোপিতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, রাজ্য সরকারকে বন সহায়ক পদে পরীক্ষার নম্বর সহ মেধাতালিকা হলফনামা আকারে জমা দিতে হবে। পরে পুরো প্যানেল বাতিলের অর্থাৎ ২০০০ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি বলা হয়েছিল সমস্ত শূন্যপদে ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে দ্রুত নিয়োগ করতে হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন