নবম-দশমে ৮০৫ জন 'অযোগ্য' শিক্ষকের চাকরী বাতিলের নির্দেশ বহাল রেখেছে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার (Justice Subrata Talukdar) এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের (Justice Supratim Bhattacharya) ডিভিশন বেঞ্চ।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Justice Biswajit Basu) মোট ৮০৫ জন 'অযোগ্য' শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন ওই শিক্ষকরা। সেই মামলার শুনানিতে সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশই বহাল রেখেছে বেঞ্চ।
বেআইনি নিয়োগ ও OMR শিট জালিয়াতি কাণ্ডের এই মামলা প্রথমে ওঠে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) সিঙ্গেল বেঞ্চে। এসময় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এরপর, মোট ৯৫২ জনের উত্তরপত্র বা OMR শিট উদ্ধার করে সিবিআই। এসময়, ৯৫২ জন শিক্ষক মামলায় যুক্ত হতে চাইলেও, তা করতে চাননি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
পরে সেই মামলাই হস্তান্তর হয় বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর সিঙ্গেল বেঞ্চে। মামলাটি বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বেঞ্চে উঠলে, তিনি ওই ৯৫২ জনের মধ্যে ৮০৫ জনের চাকরির সুপারিশ পত্র বাতিল করার নির্দেশ দেন। কারণ, কমিশন আদালতে জানিয়েছে, তাঁরা এই ৮০৫ জনের উত্তরপত্র বা OMR শিট খতিয়ে দেখে বুঝেছে, এগুলি বিকৃত করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে, এই ৮০৫ জনের মধ্যে ৬১৮ জন শিক্ষকের নাম প্রকাশ করে, তাঁদের সুপারিশপত্র বাতিল করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)।
এই দু’টি নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরি হারানো শিক্ষকরা। আদালত তাদের বক্তব্য শোনার পর রায়দান স্থগিত রেখেছে। তবে ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়েছে, এসএসসি তাদের যে ১৭ নম্বর ধারা প্রয়োগ করে অবৈধ চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি বাতিল করেছিল, তাতে হস্তক্ষেপ করতে চায় না আদালত।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন