স্কুল সার্ভিস নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় কাটল না আইনি জটিলতা। কলকাতা হাইকোর্ট-এর নতুন বেঞ্চেও ফের ধাক্কা খেল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। এবার হাইকোর্টের নতুন বেঞ্চের তরফে এক গণিত শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের নবম-দশম শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগে ফের দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। সোমবার হাইকোর্টে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বেঞ্চে SSC-র নবম ও দশম শ্রেণীতে বেআইনিভাবে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। সেই শুনানিতেই আরও এক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করল আদালত। তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে বিচারক মান্থা মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে গণিতের শিক্ষক সিদ্দিক গাজিরের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন।
বিচারপতি রাজশেখর মান্থার পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সিদ্দিকির বিরুদ্ধে মামলাকারী অনুপ গুপ্ত-র নাম মেধাতালিকার ২০০ নম্বরে থাকা স্বত্ত্বেও তিনি চাকরি পাননি। অথচ সিদ্দিক গাজির নাম তালিকার ২৭৫ নম্বরে থাকাতে তিনি চাকরি পেয়েছেন। এই ঘটনার পর বিচারপতি মান্থা মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে গণিত শিক্ষকের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছেন।
তবে কতদিনের মধ্যে এই নির্দেশ কার্যকর করতে হবে সেই ব্যাপারে হাইকোর্টের তরফে এখনই কিছু স্পষ্ট করে জানানো হয়নি। আগামী ৮ জুন, বুধবার ফের এই মামলার শুনানি আছে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র চাওয়া হয়েছে পরবর্তী শুনানির জন্য। সেগুলো ভালোভাবে খতিয়ে দেখেই পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগে দুর্নীতি সংক্রান্ত যাবতীয় মামলার শুনানি চলছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। কিন্তু এখন সেখান থেকে মামলা সরেছে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বেঞ্চে।
উল্লেখ্য, এর আগেও শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। অঙ্কিতা মেখলিগঞ্জের ইন্দিরা গার্লস হাই স্কুলের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আদালতের নির্দেশে তার চাকরি বাতিলের পাশাপাশি জরিমানা এবং বেতনবাবদ সব টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন