সন্দেশখালি কাণ্ডে সিবিআই ও রাজ্য পুলিশকে নিয়ে একটি বিশেষ দল গঠনের (SIT) নির্দেশ দেওয়া হল হাইকোর্টের তরফ থেকে। তবে ওই দলে থাকতে পারবে না ন্যাজাট থানার পুলিশ। আদালতের তরফ থেকে এই তদন্তের উপর নজরদারি রাখা হবে। বুধবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চ। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি। সেদিন তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রেশন দুর্নীতি মামলায় সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তদন্ত চালাতে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডি আধিকারিকরা। সেই ঘটনার পর মোট তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। তার মধ্যে প্রথমটি করেছিল ইডি। দ্বিতীয়, ঘটনা দেখে স্বতঃস্ফূর্ত মামলা দায়ের করে পুলিশ। এবং তৃতীয়টি, শেখ শাহজাহানের বাড়ির এক কর্মচারী ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এর মধ্যে প্রথম দুটি মামলা তদন্ত করবে ওই সিট।
ওই বিশেষ দলে সিবিআই এবং রাজ্য পুলিশের এসপি পদমর্যাদার আধিকারিকরা থাকবে বলে হাইকোর্টের নির্দেশ। রাজ্য জানিয়ে দিয়েছে, তাদের তরফে বিশেষ তদন্তকারী দলে থাকবেন ইসলামপুর পুলিশ জেলার সুপার জসপ্রীত সিংহ। তবে সিবিআইয়ের তরফে এখনও কোনও আধিকারিকের নাম উল্লেখ করা হয়নি। আদালতের নির্দেশ, সংশ্লিষ্ট সিট চাইলে কেন্দ্রীয় বাহিনী বা রাজ্য পুলিশের সাহায্য নিতে পারবে।
উল্লেখ্য, হাইকোর্টে ইডি জানিয়েছিল তারা রাজ্য পুলিশের উপর ভরসা করতে পারছে না। প্রয়োজনে তথ্য বিকৃতিরও আশঙ্কা করেছেন তারা। ইডির আবেদন ছিল, নিরপেক্ষ তদন্ত হোক। সেজন্যই তদন্তভার সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিল ইডি।
বুধবার হাইকোর্টে ইডির হয়ে কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল (এএসজি) এসভি রাজু এবং আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী সওয়াল করেন। রাজ্যের তরফে ছিলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্ত এবং আইনজীবী অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়। সিবিআইয়ের হয়ে আদালতে ছিলেন কেন্দ্রের ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল বিল্বদল ভট্টাচার্য।
অন্যদিকে, এদিন শুনানি চলাকালীন সিবিআইয়ের তরফ থেকে ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে তুলনা করা হয় শাহজাহানকে। সিবিআই বলে, ওসামা বিন লাদেনের মতো ভয়েস মেসেজ করছেন শাহজাহান। তার পরেও পুলিশ তাঁকে খুঁজে পাচ্ছে না। ইডি তাতে সায় দিয়ে বলে, ‘আমি সুভাষ বলছি....’-র মতো বার্তা পাঠাচ্ছেন শাহজাহান।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন