ফের কলকাতা হাইকোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি বা ম্যাকাউট (MAKAUT)-র উপাচার্যকে তড়িঘড়ি অপসারণ করার সিদ্ধান্ত খারিজ করল আদালত।
গত ২৯ জুলাই আচমকাই একটি নোটিশ জারি করেছিল রাজ্য সরকার। নোটিশে জানানো হয়, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ম্যাকাউটের উপচার্যের পদ থেকে সরানো হচ্ছে সৈকত মৈত্রকে। সৈকত বাবুর অভিযোগ, অপসারণের কারণ জানতে চাইলেও রাজ্য সরকারের তরফে কোনও সদুত্তর মেলেনি। এই ঘটনার পরেই রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সৈকত মৈত্র।
মূলত মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই অপসারণের কারণ জানতে চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন সৈকত মৈত্র। এ বিষয়ে তাঁর আইনজীবীরা আদালতে প্রশ্ন তুলে বলেন, এভাবে কি রাতারাতি নোটিশ দিয়ে উপাচার্যকে সরিয়ে দেওয়া যায়?
সৈকত মৈত্রের অপসারণের বিষয়ে আদালতে সরকার পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য, ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট, ২০০০ অনুযায়ী উপাচার্যের ২ বছরের বেশি মেয়াদ থাকে না। সেই নিয়ম মেনেই সরানো হয়েছে সৈকতকে।
এই বক্তব্যের পাল্টা হিসেবে সৈকত মৈত্রের আইনজীবীরা জানান, ২০০০-এর পর ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট, ২০১৭ এসেছে। যেখানে উপাচার্যদের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। তাহলে সৈকত মৈত্রের ক্ষেত্রে আলাদা নিয়ম হল কেন?
বৃহস্পতিবার, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক সেনের সিঙ্গেল বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। রাজ্য সরকারের বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে সৈকত মৈত্রকে পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সওয়াল শেষ হলেও এই মামলার রায়দান স্থগিত রেখেছে কলকাতা হাইকোর্ট।
তবে সূত্রের খবর, হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছে রাজ্য সরকার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন