কেন্দ্রীয় সরকারের ইউডিআইডি কার্ডে বাংলার মানুষের নাম নথিভুক্ত করার জন্য নতুন করে একটি পোর্টাল খুলেছিল রাজ্য। অভিযোগ, যখনই ওই পোর্টালে কেউ নাম নথিবদ্ধ করতে চাইছেন, তাঁদের নাম আগে থেকেই নথিবদ্ধ বলে দেখিয়ে দিচ্ছে। এই দাবি তুলে আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলার শুনানি ছিল সোমবার।
এই মামলার শুনানিতে আদালতে প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘‘এক জন চিকিৎসক সব কাজ করবেন, এটা আশা করা যায় না! হাসপাতালে ৮০ শতাংশ কর্মী চুক্তিভিত্তিক। ১২-১৩ হাজার টাকা করে তাঁরা বেতন পান। তাঁদের কাছ থেকে কী কাজ আশা করবেন? রাজ্যের সব ক্ষেত্রে চুক্তিভিত্তিক কর্মী থাকায় দায়সারা মনোভাব থেকে যাচ্ছে।’’ তাঁর প্রশ্ন, ‘‘এ রাজ্যে কেন আলাদা পোর্টাল? যদি সেটা হয়েও থাকে, কেন্দ্রীয় পোর্টাল থেকে কেন তথ্য নেওয়া হচ্ছে না?’’
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে প্রতিবন্ধীদের চিকিৎসার সুবিধার্থে কেন্দ্রীয় সরকার ইউডিআইডি কার্ডের ব্যবস্থা করে। বাংলার মানুষ ওই কার্ড চাওয়ায় আদালা করে একটি পোর্টালও খোলা হয়। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, যখনই ওই পোর্টালে কেউ নাম নথিভুক্ত করতে চাইছে, তখনই তার নাম নথিভুক্ত দেখাচ্ছে। আর এই বিভ্রান্তির ফলে অনেকেই কার্ড পাচ্ছে না। এই অভিযোগ তুলে, ‘পরিবার বেঙ্গল’ নামে একটি সংগঠন আদালতে মামলা দায়ের করে।
রাজ্যের আইনজীবীকে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, বর্তমানে রাজ্যে কত জন চুক্তিভিত্তিক কর্মী কর্মরত রয়েছেন? তার উত্তর সরকারি কৌঁসুলি দিতে পারেননি। এর পরেই ভর্ৎসনার সুরে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘আপনার জানা উচিত ছিল। মানুষ অনেক দূর থেকে আসেন। কত কত টাকা খরচ করে তাঁরা কলকাতায় থাকেন! সব জায়গায় চুক্তিভিত্তিক কর্মীতে ভরে গিয়েছে। এসএসকেএম হাসপাতালে কত জন চুক্তিভিত্তিক কর্মী রয়েছেন? খুব খারাপ লাগে ই-পোর্টাল না খুললে। জয়েন্ট ডিরেক্টর আবার বলছেন, ৪৭০ কার্ড পোর্টালে হয়েছে! এই সমস্যা সাধারণ। এটা ঠিক করে নেওয়া সম্ভব। কিন্তু তা না করে মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে।’’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন