বুধবার নন্দকুমারের শীতলপুর পশ্চিম গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড ভেঙে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বোর্ডটি তৃণমূলের দখলে ছিল। অনৈতিক ভাবে বোর্ড গঠনের জেরেই এই নির্দেশ বলে দাবি করছে বিরোধীরা।
পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়ে গেলেও হাইকোর্টে পঞ্চায়েত সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। বুধবার নন্দকুমারের শীতলপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে অপসারণের নির্দেশ দিয়ে বোর্ড ভেঙে দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। পাশাপাশি আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে নতুন প্রধান নির্বাচন করে পুনরায় বোর্ড গঠনেরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বোর্ড গঠনের দিন যাতে সকল সসদ্য উপস্থিত থাকতে পারেন সেটাও নিশ্চিত করার দায়িত্ব দিলেন প্রশাসনকে।
মামলাকারীর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, তৃণমূল প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে বল প্রয়োগ করে বোর্ড গঠন করেছে। গত ১১ অগাস্ট ওই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের দিনই পুরনো একটি মামলায় সিপিআইএম-র জয়ী সদস্য আব্দুল জব্বরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ফলে দুই শিবিরেরই সদস্য সংখ্যা ১১ হয়ে যায়। আব্দুলের বিরুদ্ধে ৫ জুলাই মামলা দায়ের হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ কোনো প্রমাণ খুঁজে পায়নি। আব্দুলকে গ্রেফতারের ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকা সত্ত্বেও তৃণমূল বোর্ড গঠন করে।
শীতলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন সংখ্যা ২৩। যার মধ্যে তৃণমূল পেয়েছিল ১১টি, সিপিআইএম ৫টি, বিজেপি ৫টি এবং নির্দলের ঝুলিতে গিয়েছিল ২টি আসন। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য দরকার ছিল ১২টি আসন। যা শাসক দলের ছিল না। এই পঞ্চায়েতে প্রধানের পদটি ওবিসি সংরক্ষিত। তৃণমূলের ওবিসি প্রার্থী ছিলেন হাসিনা বিবি এবং বিরোধীদের প্রধান পদপ্রার্থী ছিলেন সিপিআইএম-র জয়ী সদস্য আব্দুল জব্বর।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন