মহার্ঘ ভাতার দাবিতে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের নবান্ন অভিযানে সায় দিল কলকাতা হাই কোর্ট।
কো-অর্ডিনেশন কমিটির ডাকা নবান্ন অভিযানের বিরোধিতা করে নির্দেশিকা জারি করেছিল হাওড়া পুলিশ। জনবহুল এলাকার অজুহাত দিয়ে মিছিলের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। হাওড়া পুলিশের সেই নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল কো-অর্ডিনেশন কমিটি-সহ সরকারি কর্মচারীদের কয়েকটি সংগঠন। মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা এই নির্দেশিকাকে খারিজ করে দেন। রুটে বদল এনে নবান্ন অভিযানের অনুমতি দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি সরকারের উদ্দেশ্যে একাধিক প্রশ্নও ছুঁড়েছেন তিনি।
এদিন বিচারপতি সরকারি আইনজীবীর উদ্দেশ্যে বলেন, ‘যে বিধিনিষেধের কথা বলছেন, তা শাসকদলের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য তো? রেড রোড বন্ধ করে যখন মিছিল হয়, তখন পুলিশের আসুবিধা হয় না? কিছু দল যখন মিছিল করে তখন গোটা কলকাতা স্তব্ধ হয়ে যায়। আমি শুধু শাসকদলের কথা বলছি না। মানুষ পরিবার নিয়ে রাস্তায় বেরোতে চায়, কিন্তু বেরোতে পারেন না! তখন পুলিশের অসুবিধা হয় না?’
বিচারপতি বলেন, ‘৩০ থেকে ৪০টি মামলা আমার কাছে এসেছে মিছিল করার অনুমতি চেয়ে। কেন আদালতকে বারবার হস্তক্ষেপ করতে হবে? আন্দোলন শান্তিপূর্ণ হলে, তাতে বাধা কেন? রাজ্য এই ধরনের কর্মসূচিতে বাধা দিতে পারে না।’
শর্ত সাপেক্ষে সরকারি কর্মীদের মিছিল করার অনুমতি দিয়েছে হাই কোর্ট। আবেদনকারীদের উদ্দেশ্যে বিচারপতি জানিয়েছেন, “আগামী বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটে থেকে সাড়ে ৪টে পর্যন্ত কর্মসূচি করা যাবে। হাওড়ার ফেরিঘাট, বঙ্কিম সেতু, মহাত্মা গান্ধী রোড হয়ে হাওড়া ময়দানে শেষ হবে মিছিল।’’
হাইকোর্টের এই রায়কে বড় জয় হিসাবেই দেখছেন সরকারি কর্মচারীরা। রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ গুপ্ত চৌধুরি জানিয়েছেন, ‘‘হাইকোর্ট থেকে রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশিকাকে বরখাস্ত করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের পরিকল্পনায় নবান্ন অভিযানে ১০ হাজার শ্রমিক কর্মচারীর অংশগ্রহণ করার কথা ছিল। জেলা থেকে যে খবর আসছে তাতে সংখ্যাটা ২৫ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।’’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন