গ্রেফতারির পাঁচ দিন পর জামিন পেলেন ডিওয়াইএফআই নেতা কলতান দাশগুপ্ত। কলকাতা হাইকোর্ট তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে। ৫০০ টাকার বন্ডে তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।
আদালতের অনুমতি ছাড়া কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না কলতানের বিরুদ্ধে, এমনটাই জানিয়েছে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চ। কলকাতা হাইকোর্টের অনুমোদন ছাড়া তাঁকে ডেকে পাঠাতে পারবে না পুলিশ। এই মামলায় আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পাল্টা চার সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিতে পারবেন কলতানও। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ১৮ নভেম্বর।
আদালত আরও জানিয়েছে, শুধু এই মামলাই নয়, অন্য কোনও মামলাতেও কলতানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না পুলিশ।
আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের উপর হামলার চক্রান্ত সংক্রান্ত একটি ফোনালাপের ভিত্তিতে কলতানকে গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভোরে গ্রেফতার করে পুলিশ। আজ কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের একক বেঞ্চে কলতানের জামিনের মামলার শুনানি শেষ হয়। কিন্তু রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন তিনি। সন্ধ্যায় রায় ঘোষণা করেছে বেঞ্চ। কলতান দাশগুপ্তের জামিন মঞ্জুর করেছেন বিচারপতি।
এদিনের শুনানিতে বিচারপতির প্রশ্নের মুখে পরে রাজ্য সরকার এবং পুলিশ। শুনানিতে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ জানতে চান, “যে পেনড্রাইভ পুলিশের কাছে এসেছে এবং যেখান থেকে অডিও ক্লিপটি এসেছে, সেই সোর্সকে কি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে? পুলিশ সঞ্জীব দাস এবং কলতান দাশগুপ্তকে গ্রেফতার করার আগেই একজন রাজনীতিক অডিও ক্লিপের বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করলেন কী করে? ওই রাজনীতিককে কি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে যে তিনি অডিও ক্লিপটি পেলেন কোথায়?''
প্রসঙ্গত, তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ গত ১৩ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক বৈঠক করে জুনিয়র ডাক্তারদের উপর হামলার ছক কষা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে ফোনালাপের একটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ করেছিলেন। কুণালের দাবি, এই দুজনের একজন বাম যুব সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত এবং অপরজন অতি বাম যুব সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। এরপরের দিন ভোরেই কলতানকে গ্রেফতার করে বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স থানার পুলিশ। মনে করা হচ্ছে, বিচারপতি রাজনীতিক হিসাবে কুণাল ঘোষের কথাই উল্লেখ করেছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন