উচ্চপ্রাথমিকে কর্মশিক্ষায় শিক্ষক নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপরতি বিশ্বজিৎ বসু। ফলে থমকে গেলো অতিরিক্ত ৭৫০টি শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া।
আগামী দু’দিনের জন্য কর্মশিক্ষায় নিয়োগ বন্ধের নির্দেশ আদালতের। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। জানা যাচ্ছে কম নম্বর প্রাপ্ত ব্যক্তিকে কাউন্সেলিং-এ ডাকা হয়েছে। কিন্তু যিনি বেশি পেয়েছেন তাঁকে ডাকা হয়নি। এই অভিযোগ সত্যি না মিথ্যা কমিশনকে জবাবদিহি করতে হবে আদালতে। তাছাড়া কমিশন কী পদ্ধতিতে ওয়েটিং লিস্ট বানিয়েছে সেটাও আদালতের কাছে পরিষ্কার করতে হবে। আগামী দু’দিন কোনো শিক্ষককে সুপারিশ পত্র দিতে পারবে না স্কুল সার্ভিস কমিশন।
কমিশনের তরফ থেকে বলা হয়েছে, যাঁদের নিয়োগ করা হবে তাঁদের বিশেষ যোগ্যতা আছে। অনেক পার্শ্বশিক্ষক আছেন যাঁদের সংরক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি অবশ্য বলেন, কমিশন কি ভৌমিক পদবিকেও তফসিলি জাতিভুক্ত করতে চাইছে? কী ধরণের বিশেষ যোগ্যতা সেটা আদালতও জানতে চায়।
অভিযোগকারী সোমা রায়ের বক্তব্য, নিয়মানুযায়ী আমার প্রাপ্ত নম্বর হয় ৭৬। কিন্তু আমাকে দেওয়া হয়েছে ৭২ নম্বর। ৩ নভেম্বর কমিশন ওয়েটিং লিস্ট প্রকাশ করে। লিস্টে আমার নাম নেই। লেখায় পেয়েছি ৫৪। অ্যাকাডেমিক স্কোর দেওয়ার কথা ২২। কিন্তু আমাকে দেওয়া হয়েছে ১৮। তিনি এও বলেন পার্সোন্যালিটি টেস্টের নম্বরও যোগ করা হয়নি। শুধু সোমা রায় নন আরও ৬০ জনের একই অভিযোগ। বিচারপতি সকলকে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দেন।
সম্প্রতি শারীরশিক্ষায় ৮৫০টি ও কর্মশিক্ষায় ৭৫০টি শূন্যপদ (মোট ১৬০০) তৈরি করা হয়েছিল। তার ভিত্তিতেই ৩ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। উচ্চপ্রাথমিকে কর্মশিক্ষায় ৫৮১ জন ও শারীরশিক্ষায় ৮২৩ জনকে নিয়োগ করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। কাউন্সেলিং হয় ১০ ও ১১ নভেম্বর। তার পরেই জটিলতা দেখা দেয় কর্মশিক্ষার নিয়োগ প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন