আগামী দু’দিনের মধ্যে বিধাননগর পুরসভা এলাকার সমস্ত বেআইনি হোর্ডিং খুলে ফেলতে হবে। বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। আদালতের নির্দেশে আরও জানানো হয়েছে, কোনও বিজ্ঞাপন সংস্থা হোর্ডিং না খুলতে চাইলে গ্রেফতার করতে হবে। আগামী ২০ ডিসেম্বর এই নিয়ে হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
চলতি বছর বিধাননগর পুরসভা এলাকায় বেআইনি হোর্ডিং নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থে মামলা দায়ের করেন আইনজীবী দিবায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ ছিল, পুরসভার নির্দেশ অমান্য করে বেআইনি হোর্ডিং লাগানো হচ্ছে সর্বত্র। মামলাকারীর আরও বক্তব্য ছিল, বিভিন্ন হোর্ডিং থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আয় হয় পুরসভার। কিন্তু তা সত্ত্বেও বেআইনি হোর্ডিংয়ের বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন না পুর কর্তৃপক্ষ। ওই সব হোর্ডিং খুলে ফেলা না হলে বড়সড় বিপদ হতে পারে যে কোনও সময়। উদাহরণ হিসেবে মুম্বইয়ের হোর্ডিং দুর্ঘটনার কথাও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।
মামলাকারীর আরও বক্তব্য, বেআইনি হোর্ডিং নিয়ে নিয়ম না মানলে আইন অনুযায়ী কোনও ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা যেতে পারে। এ জন্য ছ’মাসের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানার নিদান রয়েছে।
বৃহস্পতিবার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চ জানায়, ‘বেআইনি হোর্ডিং নিয়ে পুরসভা কেন পদক্ষেপ করছে না? ইচ্ছে করেই কি তারা নীরব রয়েছে? দু’দিনের মধ্যে হোর্ডিং খুলে দিতে বলুন। না হলে গ্রেফতার করুন।’
অন্যদিকে, রাজ্য একটি রিপোর্ট জমা দিয়ে জানিয়েছে, ওই এলাকা খতিয়ে দেখে ৩৫১টি বেআইনি হোর্ডিং-এর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। সেগুলি খুলে ফেলার জন্য সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞাপন সংস্থাকে নোটিস দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের আশ্বাস, ওই সব সংস্থা কাজ না করলে পদক্ষেপ করবে পুরসভা।
উল্লেখ্য, চলতি বছর মে মাসে মুম্বইয়ের ঘাটকোপার এলাকায় ভেঙে পড়ে এক বিশালাকার হোর্ডিং। এর ফলে ১৬ জনের মৃত্যু হয়। প্রায় ৮০ জন এই দুর্ঘটনার ফলে আহত হয়েছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন