অভিষেক ব্যানার্জিকে ইডি তলব নিয়ে কড়া নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। ৩ অক্টোবরই যাতে অভিষেক ইডি দপ্তরে হাজিরা দেন তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। তাঁর মতে তদন্তে কোনও ক্ষতি করা যাবে না।
বৃহস্পতিবার নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিষেক ব্যানার্জিকে ফের তলব করে সমন পাঠিয়েছে ইডি। ৩ অক্টোবর হাজিরে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। কিন্তু শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়া মারফত তিনি হাজিরা দেবেন না বলে জানিয়েছেন। এদিনই এই দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। সেখানে এই প্রসঙ্গে বিচারপতি বলেন, ৩ অক্টোবর তদন্তে কোনো ক্ষতি করা যাবে না। তদন্ত মসৃণ রাখতে ইডি চাইলে যেকোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে অভিষেকের হাজিরা নিশ্চিত করতেই এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
আজ নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে ইডি দপ্তরে হাজিরা না দেওয়ার কথা জানিয়ে অভিষেক ব্যানার্জি লেখেন, "বাংলার বিরুদ্ধে বঞ্চনা এবং বকেয়া অর্থের জন্য লড়াই অব্যাহত থাকবে। কোনো বাধা মানবো না। পশ্চিমবঙ্গের মানুষদের জন্য আমার লড়াইকে পৃথিবীর কোনো শক্তিই রুখতে পারবে না। আমি আগামী ২ ও ৩ অক্টোবর ধর্নায় যোগ দিতে দিল্লি যাবো। পারলে আটকে দেখাক"।
অন্যদিকে, এই নির্দেশের পাশাপাশি ইডির আইও (IO) মিথিলেশ কুমার মিশ্রকে তদন্তে থেকে সরানোর নির্দেশও দেন বিচারপতি সিনহা। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, "ওই আধিকারিকের মধ্যে তদন্ত করার আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে। এইভাবে তদন্ত সঠিক পথে এগোবে না। তিনি তদন্তের উপযুক্ত নন। আদালত এই আধিকারিকের উপর আস্থা হারিয়েছে।"
পাশাপাশি ইডি কর্তাদের অবিলম্বে মিথিলেশের জায়গায় নতুন আধিকারিক নিয়োগের নির্দেশ দেন বিচারপতি। আদালত এও জানিয়ে দেয় পশ্চিমবঙ্গের কোনো মামলার তদন্ত করতে পারবেন না ওই আধিকারিক।
প্রসঙ্গত, ইডির ওই আধিকারিক শেষ শুনানিতে আদালতে জানান, রিপোর্টে বেশ কয়েকজনে নাম আছে। এই নামগুলি আমরা প্রকাশ্যে বলতে চাই না। আমাদের আধিকারিকরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা পান না। ১৩১টি মামলা তদন্ত চলছে। এক একজনকে ২২টি করে মামলা দেখতে হয়। তাই একটু সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু তদন্তে কোনো গাফিলতি করছি না আমরা'। এরপরই মিথিলেশ মিশ্রকে সরানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি।
এর আগেও হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়েছিলেন এই মিথিলেশ কুমার মিশ্র। বিচারপতি সিনহাই তাঁর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেছিলেন, 'তদন্ত থেকে মুক্তি পেতে চান? তদন্তের গতি প্রকৃতি কী? আপনারা আদৌ প্রশিক্ষিত তো?'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন