আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে ২০০৯ সালের প্রাথমিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। চাকরির দাবিতে ৩৭ দিন ধরে আন্দোলন করছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা।
এদিন শুনানির শেষে বিচারপতি তালুকদার নির্দেশ দেন - উত্তর ২৪ পরগনা, মালদহ এবং হাওড়ার পাশাপাশি এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২০০৯ সালের চাকরিপ্রার্থীদের ক্ষেত্রেও একই ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে।
২০০৯ সালের টেট উত্তীর্ণ ১০০০ জন চাকরিপ্রার্থী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। গত সোমবারই তারা তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সাথে দেখা করেন। মামলা সহ গোটা বিষয়টিতে রাজ্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের দাবি জানান চাকরিপ্রার্থীরা। এরপর মঙ্গলবার কুণাল ঘোষের আশ্বাস পেয়ে আন্দোলন প্রত্যাহার করেন তাঁরা।
মামলাকারীদের আইনজীবী সৌমেশকুমার ঘোষ জানান, ২০০৯ সালে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১,৮৩৪টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। সেই অনুযায়ী লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু চারটি জেলায় কারচুপির অভিযোগ ওঠায় ২০১১ সালে সেই পরীক্ষা বাতিল করা হয়। এরপর পুনরায় সেই পরীক্ষা নেওয়া হয় ২০১৪ সালে। কিন্তু তারপর আর মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তীকালে মালদা, হাওড়া এবং উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলায় ২০০৯ সালের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নিয়োগ করা হয় প্রার্থীদের। কিন্তু দক্ষিণ চব্বিশ পরগণায় নিয়োগ করা হয়নি।
এই প্রসঙ্গে বামেদের তীব্র কটাক্ষ করে কুণাল ঘোষ বলেন, বাম জমানায় ২০০৯ সালের নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। সেই থেকেই জলঘোলা হয়ে চলেছে। কোনও একটি মহল ওদের নিয়োগ জোর করে আটকে রাখছে। আমি ওদের পাশে আছি। পর্ষদ সভাপতি ওদের প্রতি সহানুভূতিশীল। আশা করি নিয়োগের জট দ্রুত কেটে যাবে।
আইনজীবী তথা সিপিআই(এম) সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে কটাক্ষ করে তৃণমূল নেতা আরও বলেন - অন্যদের ক্ষেত্রে দরদ দেখা গেলেও এক্ষেত্রে দরদ দেখা যাচ্ছে না বিকাশ ভট্টাচার্যদের। কারণ এই নিয়োগ সংক্রান্ত অনিয়ম শুরু হয়েছে ২০০৯ সালে। আদালতে শুনানি শেষ হলেও রায়দান স্থগিত আছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন