কলতান দাশগুপ্ত গ্রেফতারি মামলায় ফের কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখ্য রাজ্য সরকার। পাশাপাশি, পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আদালত। তবে, আজও এই মামলার রায় ঘোষণা করেননি বিচারপতি। শুনানি শেষে রায় দান স্থগিত রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চে ছিল সিপিআইএমের যুব নেতা কলতান দাশগুপ্ত মামলার শুনানি। শুনানিতে বিচারপতির প্রশ্ন, “যে পেনড্রাইভ পুলিশের কাছে এসেছে এবং যেখান থেকে অডিও ক্লিপটি এসেছে, সেই সোর্সকে কি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে?” বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের আরও প্রশ্ন, "পুলিশ সঞ্জীব দাস এবং কলতান দাশগুপ্তকে গ্রেফতার করার আগেই একজন রাজনীতিক অডিও ক্লিপের বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করলেন কী করে? ওই রাজনীতিককে কি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে যে তিনি অডিও ক্লিপটি পেলেন কোথায়?''
প্রসঙ্গত, এই অডিও ক্লিপ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন কুণাল ঘোষ। মনে করা হচ্ছে, বিচারপতি রাজনীতিক হিসাবে কুণাল ঘোষের কথাই উল্লেখ করেছেন।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবারের শুনানিতে কলতানের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে বলেন, ''একটি অডিয়ো ক্লিপ প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে হামলার কথা বলা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, নির্দেশ মতো কাজ করতে। কিন্তু কোনও নির্দেশের কথা তো সেখানে বলা হয়নি!’’ তখনই রাজ্যের আইনজীবী বলেন, ‘‘সঞ্জীব অর্জুনের ভূমিকা পালন করেছেন। উনি বিভ্রান্ত ছিলেন, কী করবেন বুঝতে পারেননি। তখনই কৃষ্ণের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন কলতান!’’
রাজ্যের আইনজীবীর আরও যুক্তি, ‘‘গত ১০ মাসে দু’জনের ১৭১ বার ফোনে কথা হয়েছে। অচেনা দুই ব্যক্তির মধ্যে ফোনে এত বার কথা হওয়া অসম্ভব! অর্থাৎ দু’জন একে অপরকে যথেষ্ট ভাল করেই চিনতেন। উভয়েই পুলিশের কাছে স্বীকার করে নিয়েছেন যে অডিয়োয় তাঁদেরই গলা শোনা যাচ্ছে।’’ এর পরেই বিকাশরঞ্জন বলেন, ‘‘অডিয়োতে সত্যিই আমার মক্কেলের গলা শোনা যাচ্ছে কি না, তা নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করব না।’’
দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর এই মামলায় রায়দান স্থগিত রাখেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। উল্লেখ্য, এর আগে বুধবারও এই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন