দাড়িভিট কাণ্ডে মৃত দুই ছাত্রের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি মৃত ছাত্রদের পরিবারের দাবি করা ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি।
৬ বছর পরেও দাড়িভিট মামলা নিয়ে জট কাটেনি। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা মৃত ছাত্রদের পরিবার পিছু ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দারস্থ হয় রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকার জানায় নিয়মানুযায়ী ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে।
মামলাটি ওঠে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। প্রধান বিচারপতি জানান, ‘ভিক্টিম কম্পেনশেসন স্কিম’ অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নিয়ম আছে। কিন্তু পরিবার ২০ লক্ষ টাকা কেন দাবি করছে? আর সিঙ্গেল বেঞ্চ শুধুমাত্র ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছিল। কত পরিমাণ সেটা উল্লেখ করেনি। কেন এই বিশাল পরিমাণ টাকা পরিবারগুলির তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে তা আদালতে জানাতে হবে। আপাতত ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হল।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের দাড়িভিট হাইস্কুলে এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল। ওই বছর সেপ্টেম্বর মাসে স্কুলে উর্দু ভাষার শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। স্থানীয়দের অভিযোগ, সেই সময় বোমা বিস্ফোরণ হয় এবং পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারায় তাপস বর্মণ ও রাজেশ সরকার নামে দুই ছাত্র। এই ঘটনার জেরে স্থানীয়দের বিক্ষোভে প্রায় দু মাস ওই স্কুল বন্ধ ছিল।
ঘটনার ৫ দিন পর তদন্তভার হাতে পেয়েছিল সিআইডি। কিন্তু সিআইডি-র তদন্তে সন্তুষ্ট ছিলে না ওই দুই মৃত ছাত্রের পরিবার। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছিল শক্তিশালী আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করা হয়েছিল। কিন্তু ঠিক কোন অস্ত্র তা এখনও জানতে পারেনি সিআইডি। যা নিয়ে হাইকোর্টেও ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছিল সিআইডিকে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন