একে ভোট, তার ওপর প্রার্থী যখন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তখন তো যেভাবেই হোক এলকায় জমা জল বার করতেই হবে। তাই যুদ্ধকালীন তৎপরতাতে জমা জল বার করলো কলকাতা পুরসভা। এমনকি রাত ২টা পর্যন্ত পুরো বিষয় নিজে তদারকি করেছেন ফিরহাদ হাকিম। যা দেখে আমজনতার কটাক্ষ এই তদারকি যদি সবসময় করা হতো তাহলে জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এতোগুলো প্রাণ ঝরে যেত না।
মঙ্গলবারের নিম্নচাপের জেরে ওইদিন এবং বুধবার বৃষ্টি হয়েছে শহরে। যার জেরে ভবানীপুর সহ একাধিক এলাকায় জল দাঁড়িয়ে যায়। কিন্তু বৃহস্পতিবার ভবানীপুর কেন্দ্রের হাইভোল্টেজ উপনির্বাচন। যেভাবে হোক তার আগে জল বের করতে হবে। তাই গোটা রাত ধরে জমা জল বের করার কাজ করেছে কলকাতা পুরসভা। পুরো বিষয়টি তদারকি করেছেন পুরপ্রশাসক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
ভোটের দিন সকালেই কার্যত গর্বের সুরে সাংবাদিকদের সামনে তিনি জানিয়েছেন, কোথাও জল নেই। ভোটারদের কোনো অসুবিধায় পড়তে হবে না। যদিও আলিপুর বর্ডিগার্ড লাইনসের পাশে ডায়মন্ড হারবার রোডের একাংশে এখনো জল জমে রয়েছে। জল ডিঙিয়েই ভোট দিতে যাচ্ছেন ভোটাররা।
পুরপ্রশাসকের এই মন্তব্য শুনে আমজনতার কটাক্ষ ভোট বলেই কী এতো তৎপরতা? বৃষ্টি হওয়ার পর সবসময় এই তৎপরতা দেখালে জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এতো জনের মৃত্যু হতো না। প্রসঙ্গত, শেষ কয়েকদিনে শহরে জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন