জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশনের আজ চতুর্থ দিন। এবার পুজো দেখতে বেরিয়ে ধর্মতলায় অনশন মঞ্চে একবার ঘুরে আসার বার্তা দিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বতী উপাচার্য শান্তা দত্ত দে। সোমবার তিনি জানান, “সেজেগুজে পুজো মণ্ডপ দেখতে বেরিয়ে আগে একবার ধর্মতলায় চিকিৎসকদের অনশন মঞ্চেও ঘুরে আসুন। সমাজের মঙ্গলের জন্য ওঁরা ওখানে বসে রয়েছেন।“
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের ৭৫ তম পূর্তি উপলক্ষ্যে সোমবার সকালে কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসের সেনেট হলে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তবর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত দে বলেন, ‘‘আজও বিচার পাননি আর জি করের নির্যাতিতা। আর জি করের ঘটনায় পায়ের তলার মাটি নড়ে গিয়েছে। কর্মক্ষেত্রে মেয়েরা যে কতটা অসুরক্ষিত, এই ঘটনা তা দেখিয়ে দিল। এর প্রতিবাদে পড়ুয়া-চিকিৎসকেরা অনশনে বসে রয়েছেন।“
শান্তা আরও বলেন, ‘‘এখন উৎসবের মেজাজ মোটেও নেই। সব কিছু টলে গিয়েছে। পুজোয় যাঁরা বিশ্বাস করেন, তাঁরা নিশ্চয়ই করবেন। তবে, পুজোর আনন্দ জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’’ সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘সাংবাদিকতা করতে গেলে সবার আগে সৎ থাকা জরুরি। অসৎ শাসক, অসৎ সাংবাদিকতা সমাজকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিতে পারে। অসৎ শাসক থাকলেও সৎ সাংবাদিকতা সমাজকে পাল্টাতে পারে। শাসকের আসন টলিয়ে দিতে পারে।’’
উল্লেখ্য, শনিবার রাত সাড়ে আটটা থেকে ১০ দফা দাবি নিয়ে ধর্মতলায় আমরণ অনশনে বসেছেন ছ’জন জুনিয়র চিকিৎসক। রবিবার রাতে তাতে যোগ দেন আর জি করের এক জুনিয়র চিকিৎসক। অন্যদিকে, মঙ্গলবার সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত প্রতীকী অনশনে বসবেন রাজ্যের সব জুনিয়র চিকিৎসকরা। সঙ্গে থাকবেন সিনিয়র চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরাও। আজ বিকালে মহামিছিলেরও ডাক দিয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। কলেজ স্ট্রিট থেকে অনশন মঞ্চ পর্যন্ত হওয়ার কথা ছিল সেই মিছিলের। কিন্তু শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, যানজটের কারণ দেখিয়ে সেই মিছিলের অনুমতি দিল না পুলিশ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন