সুপ্রিম কোর্টেও খারিজ হয়ে গেল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালী চক্রবর্তীর পুনর্নিয়োগের আবেদন। ফলে কলকাতা হাইকোর্টের রায় মেনেই অপসারিত হবেন সোনালী চক্রবর্তী।
কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। কিন্তু লাভ কিছুই হল না। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখল দেশের শীর্ষ আদালত। বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি হিমা কোহলির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। মঙ্গলবার আদালতের পর্যবেক্ষণ, রাজ্যের রাজ্যপালের ক্ষমতার অপব্যবহার করে সোনালী চক্রবর্তীকে পুনর্নিয়োগ করেছিল রাজ্য সরকার। পদ্ধতিগত ত্রুটি হয়েছে। তাই কলকাতা হাইকোর্টের রায় একদম সঠিক ছিল। এই রায়ের পরই নিশ্চিত হয়ে গেল সোনালীদেবীর অপসারণ।
১৩ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের আবেদন খারিজ করে। আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ বলে, সোনালি চক্রবর্তীকে পুনরায় নিয়োগের ক্ষমতা রাজ্য সরকারের নেই। এমন নিয়োগে আচার্যের স্বাক্ষর না থাকলে তা গ্রহণযোগ্য নয়। গত বছর সোনালির উপাচার্য পদে পুনরায় নিয়োগের যে বিজ্ঞপ্তি রাজ্য সরকার জারি করে তাও বাতিল করেছিল আদালত।
অনিন্দ্যসুন্দর নামের এক মামলাকারী আদালতে সোনালির পুনর্নিয়োগের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। তারই শুনানিতে রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট। মামলাকারীর অভিযোগ, যে পদ্ধতিতে সোনালিকে উপাচার্য পদে পুনরায় নিয়োগ করা হয়েছিল তাতে ত্রুটি আছে। উপাচার্য নিয়োগের নিয়মানুযায়ী রাজ্যের তরফ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের কাছে নতুন উপাচার্যের নাম পাঠাতে হয়। রাজ্যপাল তাতে সম্মতি দিলে তবেই রাজ্য সরকার উপাচার্য নিয়োগ করতে পারে। সোনালির ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি রাজ্য সরকার মানেনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন