সিবিআই বৃহস্পতিবার দাবি করেছে যে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জির কলকাতার নাকতলায় বাসভবনের পিছনের দিকে একটি ঘরকে স্কুলে নিয়োগের জন্য বহু কোটি টাকার নগদ “লেনদেনের” জন্য ব্যবহার করা হত৷ বর্তমানে প্রাক্তন এই তৃণমূল নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন।
তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চ্যাটার্জির নাম এই মামলায় জড়িয়ে পড়ার পর এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটরেটের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাঁকে সমস্ত দলীয় পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বিশেষ আদালতে সিবিআইয়ের কৌঁসুলি এদিন বলেছেন, যারা "মধ্যস্থতাকারী" হিসাবে কাজ করেছিল তাদের ওই ঘরে অবাধ প্রবেশাধিকার ছিল, যেখানে নগদ অর্থের বিনিময়ে কাদের স্কুলে নিয়োগ করা হবে সেই তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছিল।
সিবিআই-এর আরও দাবি, এরপর ওই তালিকা পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশনের (WBSSC) তৎকালীন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যের কাছে পাঠানো হয়, যিনি স্কুলে নিয়োগের মামলায় দুর্নীতি কান্ডে জড়িত থাকার কারণে এখন বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার আদালতে পার্থ চ্যাটার্জির জামিনের আবেদনে আপত্তি জানিয়ে সিবিআইয়ের কৌঁসুলি বলেন, এটি একটি “সংগঠিত অপরাধ” এবং যার মধ্যে পার্থ চ্যাটার্জি প্রধান মাথাদের মধ্যে একজন ছিলেন।
জামিনের আবেদন করার সময়, পার্থ চ্যাটার্জি তাঁর বয়স এবং অসুস্থতার কথা বিবেচনা করে সংশোধনাগারে একজন সহকারীর জন্যও আবেদন করেছিলেন।
এদিন পার্থ চ্যাটার্জি আদালতে দাবি করেন, “নিযুক্তির ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী বা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর কোনও ভূমিকা নেই। তাই আমারও এই বিষয়ে কোনও ভূমিকা ছিল না। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি।”
এর আগে গত ৭ আগস্ট আদালতে তাঁর আগের হাজিরায়, পার্থ চ্যাটার্জি বলেছিলেন, তিনি তাঁর দলেরই অনেকের করা “ষড়যন্ত্রের শিকার”। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, তাঁর অনেক শত্রু আছে এবং যাদের সাথে তিনি কাজ করেছেন এবং যারা সত্যিই হাই-প্রোফাইল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন