আরজি কর মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় গ্রেফতার হলেন টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল এবং তৎকালীন আরজি করের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। সিবিআই সূত্রে খবর, দু’জনকেই তদন্তে অসহযোগিতা এবং তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার সিজিও কমপ্লেক্সে টালা থানার ওসিকে আরজি করে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায় সিবিআই। প্রায় ৭ ঘন্টা জেরার পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে দেরিতে এফআইআর দায়ের করারও অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি তথ্য প্রমাণ লোপাট করা এবং অপরাধ স্থল সুরক্ষিত না রাখারও অভিযোগ রয়েছে ওই ওসির বিরুদ্ধে।
সিবিআই সূত্রে খবর, টালা থানার ওসি ভিন্ন ভিন্ন বয়ান দিচ্ছেন। এর আগে ৬ বার অভিজিৎ মণ্ডলকে জেরা করেছিল সিবিআই। অন্যদিকে, আগেই দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-র হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ। এবার ধর্ষণ ও খুনের মামলাতেও তাঁকে গ্রেফতার করা হল।
আরজি কর কাণ্ডের পর থেকেই টালা থানার ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন মৃত চিকিৎসকের পরিবার। এফআইআর দায়ের হওয়া নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এই ওসির গাফিলতির অভিযোগ করেন আইনজীবীরাও। যার জেরে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল পরবর্তী শুনানিতে ওই ওসিকে আদালতে উপস্থিত থাকতে হবে।
এরপরেই শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে একাধিক হাসপাতালে তিনি ভর্তি হতে যান। কিন্তু ছ'টি হাসপাতাল ওই ওসিকে ফিরিয়ে দেয়। পরে ভবানীপুরের এক হাসপাতালে তিনি ভর্তি হন। তারপর থেকেই প্রশ্ন ওঠে সুপ্রিম কোর্টে হাজিরা এড়াতেই কি তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন?
প্রসঙ্গত, আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর সেই সময় হাসপাতালের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নাম প্রকাশ্যে আসে। একাধিক অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এর মধ্যে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে। তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুন মামলার তদন্তের পাশাপাশি সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক দুর্নীতিরও তদন্তভার সিবিআই-কে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। দীর্ঘ জেরার পর তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের পর এবার ধর্ষণ ও খুন মামলাতেও গ্রেফতার হলেন তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন