পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান পাঁচু রায়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিল সিবিআই। এই চার্জশিটে নাম রয়েছে অয়ন শীলেরও। মঙ্গলবার আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে চার্জশিট জমা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার কুন্তল ঘোষ এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সূত্র ধরে প্রমোটার অয়ন শীলের নাম প্রকাশ্যে আসে। এরপর গত ১৯ মার্চ সল্টলেকে অয়নের বাড়ি এবং অফিসে তল্লাশি চালায় ইডি। সেই তল্লাশি অভিযানে ওএমআর শিটের পাশাপাশি ২৮ পাতার নথি উদ্ধার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা যায়, ওই নথির মধ্যে রয়েছে একাধিক পুরসভার চাকরি প্রার্থী তালিকা এবং সেই সংক্রান্ত সুপারিশ পত্র। ইডি বাজেয়াপ্ত করে সেই নথি।
তদন্তকারী সূত্রে খবর, প্রার্থী তালিকায় থাকা নামের পাশে ওই নথিতে বেশ কিছু ‘কোড ওয়ার্ড’ পাওয়া যায়। নথির মধ্যে ছিল বিভিন্ন পুরসভার নিয়োগের সংক্রান্ত প্যানেলের প্রার্থীর তথ্যাবলি। উত্তর দমদম, নিউ ব্যারাকপুর, দক্ষিণ দমদম-সহ বেশ কয়েকটি পুরসভার প্যানেলের তথ্যও ছিল ওই নথিতে। পুরসভাগুলিতে মেডিক্যাল অফিসার, মজদুর, ওয়ার্ড মাস্টার, ক্লার্ক, অ্যাসিস্ট্যান্ট ক্যাশিয়ার, হেল্পার, ড্রাইভার-সহ একাধিক পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশের তালিকাও ওই নথিতে ছিল।
সেই সূত্র ধরেই উঠে আসে দক্ষিণ দমদমের প্রাক্তন চেয়ারম্যান পাঁচু রায়ের নাম। একাধিক বার তাঁকে তলব করা হয়। সিবিআইয়ের পক্ষ থেকেও তাঁকে তলব করা হয়। জানা যায়, দক্ষিণ দমদম পুরসভায় করোনা আবহে রাতারাতি নিয়োগ হয়েছে ২৯ জনের। সেই সময় ওই পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন পাঁচু রায়। সিবিআইয়ের সূত্রে খবর, ওই নিয়োগ সঠিক প্রক্রিয়া মেনে হয়নি। সেই পাঁচু রায়ের বিরুদ্ধে এবার আদালতে চার্জশিট জমা দিল সিবিআই।
তবেসূত্রের খবর, ওই চাকরিগুলো টাকার বিনিময়ে হয়েছে কিনা, সেটা জমা দেওয়া চার্জশিটে উল্লেখ নেই। এবিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন