পুজোর মুখে ৫৮ দিন পর আর জি কর মামলায় প্রথম চার্জশিট জমা দিল সিবিআই। ২১৩ পাতার চার্জশিটে সিবিআই জানিয়েছে, মহিলা চিকিৎসককে মদ্যপ অবস্থায় ধর্ষণ এবং খুন করেছেন সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়। তথ্য প্রমাণও লোপাট করা হয়েছে। সিবিআই মারফত এমনটাই জানা গেছে।
সোমবার শিয়ালদা বিশেষ আদালতে ২১৩ পাতার চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। সূত্রের খবর, ২০০ জনের সাক্ষ্য প্রমাণ নেওয়া হয়েছে। চার্জশিটে স্পষ্ট, অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় একাই তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করেছে। গণধর্ষণের কোনও প্রমাণ মেলেনি। তবে তথ্যপ্রমাণ লোপাট করার জন্য তাকে সাহায্য করেছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডল।
সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তদন্ত এখনও চলছে। এরপরের চার্জশিটে সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলের ভূমিকা আরও ভালো করে উল্লেখ করা হবে।
অন্যদিকে, এই মামলায় ন্যায় বিচার এবং চিকিৎসকদের নিরাপত্তার দাবিতে শনিবার থেকে ধর্মতলায় আমরণ অনশন শুরু করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সিবিআইয়ের চার্জশিটের সাথে সহমত নন তাঁরা। চার্জশিট পেশের পরেই জুনিয়র চিকিৎসকরা সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, এই ঘটনা একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। তবে যেহেতু এটা প্রাথমিক চার্জশিট, তাই এটা নিয়ে বিশেষ মন্তব্য করতে চাননি তাঁরা।
আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দেবাশিস হালদার বলেন, “সংবাদমাধ্যম থেকে যা তথ্য পেয়েছি, সেই অনুযায়ী এটি একটি প্রাথমিক চার্জশিট। তার ভিত্তিতে এই মুহূর্তে কোনও মন্তব্য করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলব। তার পরে এই বিষয়ে আমাদের প্রতিক্রিয়া জানাব।”
উল্লেখ্য, গত ৮ আগস্ট রাতে আর জি কর হাসপাতালের মধ্যেই কর্তব্যরত অবস্থায় ধর্ষিতা ও খুন হতে হয় ৩১ বছরের ট্রেনি চিকিৎসককে। সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসাবে তারপরের দিনই কলকাতা পুলিশ গ্রেফতার করে সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্ত শুরু করে সিবিআই। তদন্তভার হাতে নিয়েই সঞ্জয়কে হেফাজতে নেয় সিবিআই।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন