উত্তর ২৪ পরগনা জেলার তৃণমূলের যুবনেতা হিসেবে পরিচিত দেবরাজ চক্রবর্তী। অন্যদিকে তিনি জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী তথা তৃণমূল বিধায়ক অদিতি মুন্সীর স্বামী ও বিধাননগরের মেয়র পারিষদ। এবার ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁকে তলব করলো সিবিআই। ইতিমধ্যেই তিনি হাজিরাও দিয়েছেন।
প্রসেনজিৎ দাস নামে এক বিজেপি কর্মীর হত্যাকাণ্ডে নাম জড়িয়েছে দেবরাজ চক্রবর্তীর। সেই মামলা তদন্ত করতে নেমে দেবরাজকে সকাল ১১টার মধ্যে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল সিবিআই। নির্দিষ্ট সময়ের কিছু পরে সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দেন তিনি। একাধিক নথি নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে ঢুকতে দেখা যায় তাঁকে। সূত্রের খবর, আগে এই মামলায় বিধাননগরের সাত নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের (দেবরাজ চক্রবর্তী) নাম ছিল না। তদন্ত চলাকালীন তাঁর নাম উঠে আসে। সেই ভিত্তিতেই তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরে বিধাননগর পুর নিগমের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কর্মী প্রসেনজিৎ দাসের মৃত্যু হয়। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, প্রসেনজিৎকে খুন করেছে তৃণমূল। বাগুইহাটি থানায় অভিযোগ করেও কোন সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ।
উল্লেখ্য, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তৃণমূলের একাধিক হেভিওয়েট নেতাদের তলব করে সিবিআই। বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে বহুবার সিবিআই ডেকে পাঠায়। বহুবার হাজিরা এড়িয়েওছেন তিনি। অনুব্রত মণ্ডল ছাড়াও লাভপুরের তৃণমূল বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ এবং কেতুগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজকে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI)। তাঁরাও হাজিরা দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা নিয়ে সুপ্রিমকোর্টে একটি শুনানিও আছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন